1. kamruzzaman78@yahoo.com : kamruzzaman Khan : kamruzzaman Khan
  2. ssexpressit@gmail.com : savarsangbad :
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

আশুলিয়ায় প্রেমিকাকে বিয়ে করতে না পেরে সুইসাইড নোট লিখে থানায় যুবক

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩

আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় প্রেমিকাকে বিয়ের দাবিতে বিশ টাকার স্ট্যাম্পে সুইসাইড নোট লিখে থানায় হাজির হয়েছে এক কিশোর। নোটে আত্মহত্যার জন্য পৃথিবীর কেউ দায়ী নয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার মৃত্যুর পর পরিবার যাতে আইনি জটিলতায় না পড়ে সেই কথাও লিখা আছে। ওই যুবক জানিয়েছেন, প্রেমিকাকে বিয়ে করা নিয়ে পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়নের কারণেই তিনি এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ৪ অক্টোবর বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক নোমান ছিদ্দিক। এর আগে ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসারের কাছে তার সুইসাইড নোট জমা দিতে আসে ওই কিশোর। পরে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে বুঝিয়ে পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করেন। আত্মহননের সিদ্ধান্ত নেওয়া ওই কিশোরের নাম মো. শিমুল হাসান (১৮)। তার বাড়ি আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কলতাসূতি গ্রামে। তার বাবার নাম আয়নাল হক। সে শিমুলিয়ার আব্দুল মান্নান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

সুইসাইড নোটে ওই যুবক লেখেন, ‘আমি মো. শিমুল হাসান, বাংলাদেশের একজন নাগরিক। আমার বয়স ১৮। অতএব আমি প্রাপ্তবয়স্ক। আমি আমার বুঝ বুঝতে শিখেছি। অতএব, আমি শিমুল হাসান সজ্ঞানে চিন্তাভাবনা করিয়া এই মর্মে অঙ্গীকার করিতেছি যে, ভবিষ্যতে আমার যদি কোনো প্রকার ক্ষতি হয় বা আমি মারা যাই এর জন্য এই পৃথিবীর কেউ দায়ী থাকবে না। আমার মৃত্যুর জন্য কেবল আমি নিজেই দায়ী। আমার কোনো ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার পর আইন যাতে আমার পরিবার অন্য কারও ওপর কোনো প্রকার হয়রানি করতে না পারে।’

thumbnail_IMG_20231004_122214

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক নোমান ছিদ্দিক বলেন, মঙ্গলবার রাতে একটি স্ট্যাম্পে সুইসাইড নোট লিখে ডিউটি অফিসারের রুমে জমা দিতে এসেছিলেন এক যুবক। পরে বিষয়টি আমার নজরে আসলে তার সঙ্গে কথা বলি। এক পর্যায়ে বুঝিয়ে তাকে তার বাড়িতে পরিবারের কাছে নিয়ে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি ছেলেটির পরিবার অনেক দরিদ্র। তার বাবা একজন কৃষক। ছেলেটি স্থানীয় একটি কলেজে পড়াশুনা করে। একটি মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কও আছে। সম্প্রতি ছেলেটি ওই মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। কিন্তু তার পরিবার এখনি সেই বিয়েতে সম্মত ছিল না। এতেই ক্ষোভে-দুঃখে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ছেলেটি। আমি তার বাবা-মার সঙ্গে কথা বলে ছেলেটিকে তার পরিবারের জিম্মায় বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :