আশুলিয়া প্রতিনিধি: যাত্রীদের মারধরে নয়, অন্য একটি বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন ইতিহাস পরিবহনের চালক ও হেলপার। পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিজেকে বাঁচাতে ভিন্ন গল্প সাজায় সেই বাসে থাকা আরেক চালক। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ তদন্তে খোলাসা করেছে দুই করুণ মৃত্যুর ঘটনা। ১০ এপ্রিল বুধবার দুপুরে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) আব্দুল্লাহিল কাফি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ইতিহাস পরিবহনের চালক ও হেলপার নিহত হওয়ার ঘটনা ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। সংগ্রহ করে ঘটনার সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ। সেইসঙ্গে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বক্তব্য রেকর্ড করেন। সব পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অপর একটি বাসের ধাক্কায় আহত হন তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের গাজীপুরের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেপেজি মেমোরিয়াল হসপিটালে ভর্তি করেন। সেখানে মৃত্যু হয় তাদের। পুলিশ জানায়, মূলত হেলপার আব্দুর রহমান ইতিহাস পরিবহনের বাসটি চালাচ্ছিলেন। নিহতের একজন ছিলেন গাড়ির দরজা সোজা সড়কে, অপরজন ছিলেন গাড়ির দরজায়। আব্দুর রহমান অপর বাসের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে বাস বামে চাপায়। এসময় সোহেল ও হৃদয় দুই বাসের মধ্যে চাপা পড়েন। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপরই আব্দুর রহমান বাস থেকে নেমে পালিয়ে যান। পরে আব্দুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে আনলে স্পষ্ট হয় ঘটনাটি। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুর রহমান পুরো বিষয়টি স্বীকার করেন। গতকাল সাংবাদিক ও পুলিশ অফিসারের কাছে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তা ভয়ে দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। আরও বলেন, আব্দুর রহমানের বক্তব্য অনুযায়ী ১০-১২ কিংবা ১৫ জন ব্যক্তি মিলে বাস থেকে নামিয়ে দুজনকে পিটিয়ে আহত করেছেন। কিন্তু প্রাথমিক সুরতহালে এমন কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার বক্তব্যের সঙ্গে আঘাতের কোনো মিল নেই। তখনই সন্দেহ হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply