আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় মুড়ির মোয়া খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে জহিরুল ইসলাম (৩৫) নামের এক জনকে আটক করেছে পুলিশ। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার বিকেল তিনটার দিকে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকাবাসী ধরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন। আটক জহিরুল ইসলাম (৩৫) সিরাজগঞ্জ জেলার জলিল খলিফার ছেলে বলে জানা গেছে। তবে তিনি আশুলিয়ার ভাদাইলের পবনারটেক উত্তরপাড়া এলাকার ভোটার। জাতীয় পরিচয়পত্রে তার স্থানীয় ঠিকানা দেওয়া আছে ভাদাইলের পবনারটেক। তিনি ভাদাইলের পবনারটেক উত্তরপাড়ার নুরুল হকের বাড়িতে ভাড়া থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের পোশাক কারখানায় ক্লিনার পদে কাজ করতেন।
ভুক্তভোগীর নানী জানায়, ভুক্তভোগী বাবা পোশাক শ্রমিক আর মা প্রবাসী। বাবা পোশাক শ্রমিক হওয়ায় প্রতিদিনের মত সকালে বাসায় মেয়েকে রেখে কাজে যায়। জহিরুল ইসলাম প্রতিবেশী হওয়ায় ভুক্তভোগীদের বাড়িতে আগে থেকে যাতায়াত করতেন। ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে বাসায় প্রবেশ করে ওই শিশুকে মুড়ির মোয়া খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। শিশুটি ভয়ে চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এ সময় জহিরুল পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের দাদী বাসায় গিয়ে দেখেন তার নাতনী কান্নাকাটি করছেন। পরে নাতনীর কাছ থেকে ঘটনা শুনে স্থানীয় মেম্বারের কাছে গিয়ে ঘটনা খুলে বলেন। ঘটনা শুনে ধামসোনা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রাইসুল ইসলাম রকির সহায়তায় অভিযুক্তকে ধরে থানায় সোপর্দ করা হয়। এ ব্যাপারে ওয়ার্ড আ.লীগের প্রচার সম্পাদক রাইসুল ইসলাম রকি বলেন, ঘটনা শুনে স্থানীয় মেম্বর আমাকে জানান। খবর পেয়ে জহিরুলকে তার কর্মস্থল থেকে ডেকে নিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে জহিরুল সব স্বীকার করেন। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভজন কুমার বলেন, এ ঘটনায় জহিরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
Leave a Reply