আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়া থাানাধী শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের রাঙ্গামাটি নালারটেক এলাকায় কৃষি জমি নষ্ট করে মাটি কাটার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায় দীর্ঘদিন যাবত আশুলিয়ার শিমুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমির মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিরা। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় উক্ত সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর ২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ অভিযান পরিচালনা করেন আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল ভূমি মোঃ আনোয়ার হোসেন। এসময় মাটি কাটায় জরিত থাকা ভেকু ও ট্রাক ড্রাইভার সহ লেবারদের আটক করে সকলকে এক মাস করে জেল দেওয়া হয় । সুত্রে জানায় আশুলিয়ার শিমুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় কৃষি জমির মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করার কারণে নষ্ট হচ্ছে ফসলি জমি ও কৃষি আবাদ। কৃষি আবাদ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকেরা। মাটি কাটার ফলে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা ঘাট। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেই এঅভিযান পরিচালনা করেন তিনি, এবিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন একশ্রেণীর প্রভাব শালি ব্যক্তিরা কৃষি ও আবাদি জমির মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করছেন এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষিখ্যাত ব্যহত হচ্ছে জনজীবন। এসকল ব্যক্তিরা সরকারি আইনকে অমান্য করে কৃষি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে বিক্রয় করার কারণে আজকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে ঘটনা স্থলে মাটি কাটার মুলহোতাদের না পেলেও মাটি কাটার সাথে জরিত আট জনকে আটক করে এক মাস করে জেল দেওয়া হয়েছে। এবং যারা মাটি কাটার সাথে জরিত সকলের তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে তাদের কেউ আইনের আওতায় আনা হবে। আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, অভিযানকালে ধৃত ওই ৮ জন হলেন- মোঃ রছুল উদ্দীন, মোঃ রাজিব, মোঃ মামুন ইসলাম, মোঃ শিপলু হােসেন, মোঃ জুলহাস হােসেন, মোঃ আকবর হোসেন, মোঃ সাইফুল হোসেন এবং মোঃ মোসলেম। এব্যাপারে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মাজহারুল ইসলাম জানান, ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করার প্রবণতা ভয়ংকর এবং তা কৃষির জন্য বড় ধরনের হুমকির কারণ। প্রাকৃতিক সম্পদের মধ্যে মাটি সবচেয়ে মূল্যবান। জমির উপরিভাগের ছয় থেকে সাত ইঞ্চির মধ্যেই থাকে সব ধরনের জৈব গুণাগুণ। অথচ এটাই কেটে নেওয়া হলে এসব জমির উৎপাদনশীলতা আশঙ্কাজনক হারে হ্রাস পায়। এতে করে ফসলের উৎপাদনে আসতে পারে বড় ধরনের বিপর্যয়। ক্রমাগত কমতে থাকবে ফসল উৎপাদন। যার ফলে অধিক চাষাবাদেও ফলন হবে কম। তিনি আরও বলেন, দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা বৈধ-অবৈধ ইটভাটার মালিকদের প্রলোভনে পড়ে কিছু জমির মালিক না বুঝে অল্প টাকার লোভে নিজেদের জমির মাটি বিক্রি করে দেন। অনেক সময় জমির মালিককে না জানিয়ে রাতের আঁধারেই কেটে নেওয়া হয় ফসলি জমির (টপ সয়েল) উপরিভাগের মাটি। তবে এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসন সবসময়ই সতর্ক দৃষ্টি রাখে। এর ধারাবাহিকতায় সাভার উপজেলা প্রশাসন আশুলিয়ার শিমুলিয়ায় অভিযান পরিচালনা করেছে। এধরণের কর্মকাণ্ডকে সাভার উপজেলা প্রশাসন কখনোই প্রশ্রয় দেবে না এবং এই অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান সাভারের ইউএনও মাজহারুল ইসলাম।
Leave a Reply