1. kamruzzaman78@yahoo.com : kamruzzaman Khan : kamruzzaman Khan
  2. ssexpressit@gmail.com : savarsangbad :
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন

আশুলিয়ায় পাওনা টাকা চাওয়ায় ইমামের ছেলেকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০২৩

আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় তানভীর (৮) নামের এক মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে দুই কিশোরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার আসামিদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে গত রাতে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আনোয়ার হোসেন (২০), সাকিব হোসেন (২৬), তামজিদ আহমেদ ও রাফি (১৪)। তাদের বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে তারা সবাই নিহতের পরিবারের পূর্ব পরিচিত এবং একই এলাকায় ভাড়া থাকতেন। নিহত শিশু তানভীর কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট থানার সোলাইমানের ছেলে। সোলাইমান আশুলিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম।তানভীর বাবা-মায়ের সঙ্গে মসজিদের কোয়ার্টারে থাকত। র‍্যাব জানায়, আনোয়ারের পরিবারের কাছে নিহতের বাবা সোলাইমান ২০ হাজার টাকা পেতেন। সেই টাকার জন্য সোলাইমান অভিযুক্ত আনোয়ারের পরিবারকে বিভিন্ন সময় চাপ দিয়ে আসছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ার ও তার দুই সহযোগী ৭ মার্চ শবে বরাতের নামাজ শেষে তানভীরকে অপহরণ করে। পরে তাকে ইট দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করে। ৮ মার্চ ভোরে তানভীরের মরদেহ বস্তায় ভরে সবজির গাড়িতে করে টঙ্গাবাড়ি এলাকার রাস্তার পাশের ময়লার ড্রেনে ফেলে দেয়। ৮ মার্চ বুধবার বিকেলে আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার সড়কের পাশের ময়লার ড্রেন থেকে তানভীরের নিথর দেহ উদ্ধার করে র‍্যাব। মরদেহ উদ্ধারের পর পরই অভিযান চালিয়ে একই এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। নিহতের বাবা সোলাইমান বলেন, আমার ছেলের আনোয়ারের সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু সে আহলে হাদীসের অনুসারী। মাঝেমধ্যে ছোট শিশুদের আহলে হাদীসে ধাবিত করার চেষ্টা করেন। এ ব্যাপারে আমি বাধা দিতাম। আমার মনে হয় এ কারণে সে আমার ছেলেকে অপহরণ করে হত্যা করে। এছাড়া তাদের সঙ্গে আমার ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। তাদের কাছে আমি ২০ হাজার টাকা পেতাম। এই টাকা তারা দিতে না পারলেও হতো, তাই বলে আমার অবুঝ শিশুকে মেরে ফেলল। আমি তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। সিপিসি-২, র‍্যাব ৪-এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ভবিষ্যতেও শিশু অপহরণকারী চক্র এবং এই অপরাধের বিরুদ্ধে র‍্যাব-৪ এর জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :