আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় দাড়ি কামাতে দেরি হবে বলায় নরসুন্দর ও তার ছেলেকে মারধরের ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেফতারের ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আহতের স্বজন ও এলাকাবাসী । ৮ জুলাই শনিবার দুপুরে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চালাপাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন করা হয়। এসময় মানববন্ধনের অংশগ্রহণকারী সংখ্যালঘু নরসুন্দরের পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার বিচার দাবি করেন ও আওয়ামী লীগ থেকে শহিদ ওরফে ডনের পদ বহিষ্কারের দাবি জানায়। আহত সেলুনের মালিক নরসুন্দর বাবুল চন্দ্র শীলের শাশুড়ি সোনামতি শীল বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার দাবি করি। আমার মেয়ের জামায় ও নাতিকে অন্যয়ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার করার অনুরোধ করি। এর আগে ৪ জুলাই মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের টেঙ্গুরী এলাকায় এতিম মার্কেটের বাদল হেয়ার কাটিং দোকানে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবার।আসামিরা হলেন—আশুলিয়ার টেঙ্গুরী কোনাপাড়া এলাকার মৃত জিয়র আলী মন্ডলের ছেলে মো. শহিদ ওরফে ডন (৫২)। তিনি স্থানীয় শিমুলিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বাকিরা একই এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে আশরাফ ওরফে (৩৫) ও জয়নাল আবেদীনের ছেলে হিমেল (৩২) ও অজ্ঞাত ২-৩ জন। আহতেরা হলেন—সেলুনের মালিক নরসুন্দর বাবুল চন্দ্র শীল (৪০) ও তাঁর ছেলে বাদল চন্দ্র শীল (১৯)। বাবার সেলুনের পাশেই মুদি দোকানদারি করেন ছেলে বাদল। মামলা সূত্রে জানা গেছে, সেলুনের মালিক বাবুল অন্য একজনের চুল কাটছিলেন। এ সময় তাঁর চুল কাটা শেষ না করেই শহীদ তাঁর নিজের দাঁড়ি কামাতে (সেভ) বলেন। বাবুল ১০ মিনিট দেরি হবে বললে শহীদ চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি জুতা দিয়ে গালে মারতে থাকেন। বাবুলের ছেলে বাদল বাবাকে মারতে দেখে প্রতিবাদ করলে শহীদ ও তাঁর সহযোগীরা তাঁকে কাঠ দিয়ে মারেন। বাদলের চা দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ক্যাশবক্স থেকে ৩৬ হাজার টাকা লুট করে নেন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় বাদলকে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিরা পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
Leave a Reply