আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ আশুলিয়ার একটি তৈরি পোশাক কারখানার সামনে এক নারী শ্রমিককে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা তিন শ্রমিককে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। এঘটনায় ওই তৈরি পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ১১ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নের আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার হেয়ন এ্যাপারেলন্স লিমিটেড গার্মেন্টের সামনে এঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কারখানার শ্রমিকরা জানায়, সকালে ওই পোশাক কারখানার শ্রমিক সিমা কারখানায় আসার জন্য গেটের সামনে পৌছেলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা কিশোর গ্যাং সদস্য সেলিম, কামরুল, রনি ভুইয়া, জীবন, মেহেদী, নাহিদ, মঞ্জু, আল আমিন পিচ্ছি, কউছার, রাসেলসহ আরো বেশ কয়েকজন লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে নারী শ্রমিক সিমাকে প্রকাশ্যে উত্যক্ত করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওই নারী শ্রমিকের স্বামী রিমন বাধা দিলে কিশোর গ্যাং সদস্যরা তাদেরকে প্রকাশ্যে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এসময় ওই কারখানার স্টাফ রাজ্জাক ও নিরাপত্তাকর্মীরা তাদেরকে বাঁচাতে গেলে কিশোর গ্যাং সদস্যরা রাজ্জাককেও এলোপাথারী ভাবে ছুরিকাঘাত করে তার সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে সবাইকে কারখানার বাহিরে হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়। পরে কারখানা কতৃপক্ষ আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করে। এঘটনায় ওই কারখানার মালিক ও শ্রমিকদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের কারণে গার্মেন্টস শ্রমিকসহ স্থানীয়রা চরম বিপাকে পড়েছেন পোশাক কারখানা ছুটির পর কিশোর গ্যাং সদস্যরা শ্রমিকদের বেতনের টাকা জোর পূর্বক ভাবে নিয়ে যাচ্ছে ভয়ভীতি দেখিয়ে। প্রতিবাদ করলে তাদের হামলায় কাউকে জীবন দিতে হয় আবারও কেউ সারা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী দ্রুত এসব কিশোর গ্যাং সদস্যদের কঠোর ভাবে দমন করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।এঘটনায় কিশোর গ্যাং সদস্য সেলিমকে প্রধান আসামীকে করে বেশ কয়েক জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই কারখানার এ্যাডমিন ম্যানেজার মির্জা হাসান বেগ। আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত জিয়াউল ইসলাম বলেন, এঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য এর আগেও সাভার ও আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাং সদস্যদের হামলায় এক শিক্ষকসহ এ পর্যন্ত তিনজন খুন হয়েছেন আহত হয়েছে আরও অনেক মানুষ। এছাড়াও এই চক্রটি বিভিন্ন অপরাধ মুলক কর্মকান্ডে জড়িত বলেও জানা গেছে।