আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় চালককে নেশাদ্রব্য খাওয়ানোর পর অচেতন করে অটোরিকশা চুরির সময় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক শাহিন আলম (৪০) সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। ৫ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে আশুলিয়া থানা থেকে গ্রেপ্তার দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়। এরআগে রবিবার রাতে তাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের টারজান পয়েন্টে থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের দুইজন আটক করে পুলিশ। আসামীরা হলেন-চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার মেয়া বাজার গ্রামের মৃত আ. কাইয়ুমের ছেলে মো. সোহাগ। বর্তমানে দক্ষিন গাজীরচট বটতলায় ভাড়া থাকেন। অপরজন আশুলিয়া থানার দক্ষিন গাজীরচট এলাকার মৃত নূর মিয়ার ছেলে মো. মামুন (৩৫)। ভুক্তভোগী অটোরিকশা চালক টাঙ্গাইলের সদর থানার তেলিনা গ্রামের হালিম মিয়ার ছেলে শাহিন আলম (৪০)। বর্তমানে আশুলিয়ার বখতারপুর এলাকায় পরিবারসহ ভাড়া থাকেন। পুলিশ জানায়, রবিবার রাতে জাহাঙ্গীর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেট থেকে যাত্রী বেসে অভিযুক্ত দুইজন অটোরিকশা মুসলিমনগর বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের টারজান পয়েন্ট চটপটি দোকান বসে তারা চটপটি সাথে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে খায়ানোর পর সে অচেতন হয়ে পরে। তাকে ফেলে রেখে অটো রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় দোকানদারসহ আশেপাশে লোকজন সন্দেহ হলে তারা আটক করে পরিবারকে খবর দেয়। শাহিন আলমের স্ত্রী মেরুজা বেগম জানান, ঘটনা স্থলে পরে থাকা আমার স্বামীর মোবাইল ফোন দিয়ে ছেলেকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত ঘটনা জানাইলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামীদেরকে আটক করেন ও অটোরিকশাটি জব্দ করেন। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই আব্দুল মালেক বলেন, এঘটনায় শাহিনের স্ত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মুলত তারা দোকানে গিয়ে চটপটি নিয়ে তারা নেশাদ্রব্য মেশায়। পরে চালক অচেতন হয়ে পড়লে অটোরিকশা নিয়ে যাওয়া সময় ঘটনাটি চটপটির দোকানদারের নজরে আসলে তিনি প্রথমে প্রতিবাদ করে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের আটক করে।
Leave a Reply