আশুলিয়া প্রতিনিধি : বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন সাকিব নামের এক যুবক। পরে স্থানীয় বেশ কয়েকজন বখাটে তাদের আটক করে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে বান্ধবীকে ছেড়ে দিয়ে সাকিবকে আটকে রেখে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। পরে মুঠোফোনে এক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করলে র্যাব-৪ এর সিপিসি-২ ক্যাম্পে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা।
পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে অপহৃত সাকিবকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় আটক করা হয় সাতজনকে। পরে তাদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করে র্যাব-৪। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। ৬ আগস্ট রবিবার দুপুরে আটকদের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আশুলিয়া থানা থেকে আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে শনিবার দুপুরে আশুলিয়ার এনায়েতপুর প্রফেসরের টেক এলাকায় ঘুরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন সাকিব। ভুক্তভোগী সাকিব (২২) আগে পোশাক কারখানায় চাকরি করলেও বর্তমানে বেকার। তার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলায়। বর্তমানে আশুলিয়ার এনায়েতপুর চালাবাড়ী এলাকায় ভাড়া থাকেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন লোকমান হোসেন (২১), রোহান হোসেন (২০), শাকিল ইসলাম (২০), নাজমুল হোসেন (২০), আল আমিন (২০), রাহাত খান (২০), জিন্নাত (২০)। এ ছাড়া পলাতক ইয়াসিন (২১), রনি (২৪) ও সবুজ (২৩)। ভুক্তভোগী সাকিব জানান, বান্ধবীকে নিয়ে এনায়েতপুরের প্রফেসরের টেক এলাকা ঘুরতে বের হয়েছিলেন তিনি। পরে সেখানে থাকা বখাটে যুবকরা তাদের পথরোধ করে। এরপর তাদের পাশের নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে বান্ধবীকে ছেড়ে দিলেও সাকিবের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে বখাটেরা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এসআই শরীফ আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা কেউ দাবি করেছেন চাকরি করেন, কেউ দাবি করেছেন যে তারা শিক্ষার্থী। কিন্তু কেউ তাদের পেশার কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেননি। তাই তাদের পেশা নিয়ে নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। বাদীর করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।
Leave a Reply