সংবাদ রিপোর্ট : ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অন্তর্গত সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের মুনসুরবাগ-আষাড়িয়াটেকী গ্রামের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে গেছে। এতে দুই গ্রামের ৩৬টি বাড়ি এবং একটি মাদ্রাসা অন্ধকার হয়ে পড়েছে। কবে ট্রান্সফরমার পুন:স্থাপন করা হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এর আগেও একই গ্রামে একাধিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. শাহজাহান কবীর বলেছেন, গ্রাহকরা ট্রান্সফরমারের দামের অর্ধেক টাকা জমা দিলে পরে নতুন ট্রান্সফরমার লাগানো হবে। অন্যথায় কোনো সুযোগ নেই। চুরির দায় গ্রাহকরা কেনো নিবেন এমন প্রশ্নে মিলেনি সদুত্তর। এ ঘটনায় তারা মামলা করবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় মুনসুরবাগ পারিবারিক কবরস্থানের পাশে বৈদ্যুতিক খুটিতে স্থাপিত ৩৭.৫ কেভির একটি ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ না থাকায় গ্রামবাসী লোডশেডিং মনে করলে বুধবার সকালে তারা দেখতে পান খুটিতে ট্রান্সফরমার নেই। আষাড়িয়াটেকী গ্রামের লক্ষণ সরকার বলেছেন, খুটি থেকে ট্রান্সফরমারটি নামাতে কমপক্ষে ৮-১০ জন লোক লেগেছে। যেখানে সেটি লাগানো ছিল ওই স্থান কাটাতারে ঘেরা। তার কেটে পিকআপ ঢুকিয়ে ট্রান্সফরমার তুলে নিয়েছে চোর চক্র। তার দাবি, এই চুরির সঙ্গে বিদ্যুৎ অফিসের স্টাফ বা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা জড়িত। এটা কোনো সাধারণ মানুষ খুলতে পারবে না। মুনসুরবাগ গ্রামের মৃদুল খান জানিয়েছেন, খুটির পাশে আমিনুর রহমান খানের বাড়ির গেটের তালা ভেঙে চোরচক্র ঘর তছনছ করেছে। ট্রান্সফরমারটির দাম এক লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা।
এদিকে পল্লী বিদ্যুতের নিয়ম মতে, ট্রান্সফরমারটি প্রতিস্থাপনের জন্য দামের অর্ধেক টাকা গ্রাহকদের দিতে হবে। কিন্তু এর গ্রাহকদের মধ্যে অনেকে দরিদ্র হওয়ায় তারা টাকা দিতে পারছেন না। এ অবস্থায় দুই গ্রামের ৩৬টি ঘর ও মুনসুরবাগ মাদ্রাসা কতোদিনে বিদ্যুতের আলো জ¦লবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
Leave a Reply