শিশুটির বাবা আজিজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল তার মেয়ে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনারদিন সকাল ১০টার পর থেকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না তার মেয়ে হুমায়রাকে। পরে বিষয়টি পরিবারের সবাই জানাজানি হলে এলাকাতে মাইকিং করে নিখোঁজের সন্ধান চাওয়া হয়।
স্থানীয় ইগনাইট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক জয়নাল আবেদিন তুহিন জানান, ২৪ জুন বেলা আড়াইটার দিকে এক পথশিশু স্কুলের পিছনের গলিতে প্লাস্টিকের বোতল কুড়াতে ঢুকলে সে একটি প্লাস্টিকের বস্তা দেখতে পায়। তখন সেটি খুলে ভিতরে ওই শিশুকে দেখতে পায়। সে আশপাশের লোকজনকে ডাকলে সেখানে গিয়ে তারা দেখেন, বস্তার ভিতরে অচেতন অবস্থায় একটি মেয়ে শিশু। তার গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো। তারা ধারণা করেন, মারা গেছে শিশুটি। বস্তা থেকে বের করে বাইরে এনে তার মুখে মুখ লাগিয়ে শ্বাস দেয়া হয় নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে। কিছুক্ষণ পর তার বাবা-মা খবর পেয়ে সেখান থেকে শিশুটিকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।
শিশুটির বাবা আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তাদের বাড়ির পাশেই শাহিনা নামে এক নারীর সাথে প্রায় সময় তাদের পরিবারের ঝগড়া হতো। এর আগে শিশুটির পরিবারের আত্মীয় অন্য দুই শিশু শাহিনার কাছে গিয়ে পৃথক দুই দিন শরীরে ছ্যাকা লাগে। এটি নিয়ে শাহিনার সাথে তাদের ব্যাপক ঝগড়া হয়। পরিবারটির সন্দেহ, সেই ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই শাহিনা শিশু হুমায়রাকে হত্যা করার জন্য গলায় গামছা পেচিয়ে বস্তায় ভরে চিপা গলিতে ফেলে রাখতে পারে।
আশুলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply