1. kamruzzaman78@yahoo.com : kamruzzaman Khan : kamruzzaman Khan
  2. ssexpressit@gmail.com : savarsangbad :
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন

আশুলিয়ায় বস্তাবন্দি শিশুর মরা দেহ উদ্ধার

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১ জুলাই, ২০২৩

আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় নিখোঁজের পর বস্তাবন্দি উদ্ধার হওয়া আড়াই বছরের শিশু হুমায়রা সাতদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ১ জুলাই শনিবার দুপুর ১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিশুটির বাবা আজিজুল ইসলাম। এর আগে, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আশুলিয়ার জিরাবো পুকুরপাড় এলাকার রফিকুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া আজিজুল ইসলাম ও জোসনা বেগম দম্পতির মেয়ে হুমায়রা গত ২৪ জুন দুপুর আড়াইটার দিকে বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয়। ওইদিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে সবার ছোট হুমায়রা। বাবা আজিজুল সবজি বিক্রেতা। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের তারাইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ার গ্রামে।

শিশুটির বাবা আজিজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল তার মেয়ে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ঘটনারদিন সকাল ১০টার পর থেকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না তার মেয়ে হুমায়রাকে। পরে বিষয়টি পরিবারের সবাই জানাজানি হলে এলাকাতে মাইকিং করে নিখোঁজের সন্ধান চাওয়া হয়।

স্থানীয় ইগনাইট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক জয়নাল আবেদিন তুহিন জানান, ২৪ জুন বেলা আড়াইটার দিকে এক পথশিশু স্কুলের পিছনের গলিতে প্লাস্টিকের বোতল কুড়াতে ঢুকলে সে একটি প্লাস্টিকের বস্তা দেখতে পায়। তখন সেটি খুলে ভিতরে ওই শিশুকে দেখতে পায়। সে আশপাশের লোকজনকে ডাকলে সেখানে গিয়ে তারা দেখেন, বস্তার ভিতরে অচেতন অবস্থায় একটি মেয়ে শিশু। তার গলায় গামছা দিয়ে ফাঁস লাগানো। তারা ধারণা করেন, মারা গেছে শিশুটি। বস্তা থেকে বের করে বাইরে এনে তার মুখে মুখ লাগিয়ে শ্বাস দেয়া হয় নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে। কিছুক্ষণ পর তার বাবা-মা খবর পেয়ে সেখান থেকে শিশুটিকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়।

শিশুটির বাবা আজিজুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, তাদের বাড়ির পাশেই শাহিনা নামে এক নারীর সাথে প্রায় সময় তাদের পরিবারের ঝগড়া হতো। এর আগে শিশুটির পরিবারের আত্মীয় অন্য দুই শিশু শাহিনার কাছে গিয়ে পৃথক দুই দিন শরীরে ছ্যাকা লাগে। এটি নিয়ে শাহিনার সাথে তাদের ব্যাপক ঝগড়া হয়। পরিবারটির সন্দেহ, সেই ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই শাহিনা শিশু হুমায়রাকে হত্যা করার জন্য গলায় গামছা পেচিয়ে বস্তায় ভরে চিপা গলিতে ফেলে রাখতে পারে।

আশুলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :