সংবাদ রিপোর্ট : সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম সামসুদ্দোহা খানমজলিশের স্ত্রী মোসা. সেলিমা খান মজলিশ মেহের হত্যা মামলার পুন:তদন্ত ১১ বছর পর শুরু হয়েছে। তৎপর হয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)। ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থ সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়াস্থ নিহতের বাসভবন পরিদর্শন করেছেন। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মেহেরকে উদ্ধারকারী তার প্রতিবেশী আমিনুল মোমেনীন জাপ নের বক্তব্য শুনেন। তখনকার গৃহকর্মী স্বরস্বতীর স্বামীর হরিপদ সরকারের বক্তব্যও শুনেন তিনি। এরপর তদন্তকারী সংস্থার লোকজন নিহতের প্রতিবন্দ্বী পুত্র আব্দুল কাদের খানমজলিশ সেতুর সঙ্গে কথা বলে তার বক্তব্য বোঝার চেষ্টা করেন। তবে, মামলার ডকেটের ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৪ জুন সাভারের দক্ষিপাড়ার বাসায় প্রতিবন্ধী পুত্রের সামনে নৃশংসভাবে সেলিমা খান মজলিশকে জবাই ও পেটে দুটি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। নিহতের ছোটভাই মো. শাফিউর রহমান খান শাফি বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিমা খানমজলিশ মারা যান। সাভার পৌর এলাকার আনন্দপুর পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত পুলিশ, ডিবি, সিআইডি হয়ে পিবিআইয়ে ন্যস্ত হয়। নিহতের মেয়েরা একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করে সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। সর্বশেষ ১০ অক্টোবর সোমবার নিহতের দুই মেয়ে পারভীন খান মজলিশ ও ইলোরা খান মজলিশ দ্রুত তদন্ত নিষ্পত্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ধানমন্ডির বাসভবনে স্বাক্ষাতের পর ১২ অক্টোবর বুধবার তারা পিবিআই প্রধান, পুলিশের অতিরিক্ত আইজি বনজ কুমার মজুমদারের সঙ্গে তার দপ্তরে দেখা করে মামলার তদন্তের ব্যাপারে তাগিদ দেন।
Leave a Reply