1. kamruzzaman78@yahoo.com : kamruzzaman Khan : kamruzzaman Khan
  2. ssexpressit@gmail.com : savarsangbad :
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

সেলিমা খানমজলিশ খুন: ১২ জনের বক্তব্য রেকর্ড

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২৩

সংবাদ রিপোর্ট : সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম সামসুদ্দোহা খানমজলিশের স্ত্রী মোসা. সেলিমা খানমজলিশ মেহের হত্যা মামলার পুন:তদন্তে ১২ জনের জবানবন্দি নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)। ১৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে সংস্থাটির ঢাকার জেলার উত্তরা কার্যালয়ে তাদরকে তলব করা হয়।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মামলার বাদি শাফিউর রহমান খান, নিহতের চার মেয়ে পপি, পারভীন, শিল্পী ও ইলোরা, নিহতের তিন ভাগ্নে রিপন চৌধুরী, লিংকন চৌধুরী ও মাসুদ চৌধুরী, ঘটনার সময় বাসায় কর্মরত গৃহপরিচারিকা স্বরস্বতি, তার স্বামী হরিপদ, নিহতের নাতনী তিলোত্তমা, তার স্বামী আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য বৃহস্পতিবার ফের রেকর্ড করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে মামলার তদারকি কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করায় নতুন কর্মকর্তা দায়িত্ব পেয়েছেন।
এদিকে নিহতের দুই মেয়ে মামলাটি স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিশেষ গুরুত্বপূর্ন মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করতে এ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির কাছে আবেদন করছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, নানামুখী চাপে ১১ বছর পর চাঞ্চল্যকর এই মামলার পুন:তদন্ত শুরু হয়েছে। পিবিআই-এর পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ ঘটনাস্থল সাভার পৌর এলাকার দক্ষিণপাড়াস্থ নিহতের বাসভবন পরিদর্শন করেন। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মেহেরকে উদ্ধারকারী তার প্রতিবেশী আমিনুল মোমেনীন জাপানের বক্তব্য শুনেন। তখনকার গৃহকর্মী স্বরস্বতীর স্বামীর হরিপদ সরকারের বক্তব্যও শুনেন তিনি। এরপর তদন্তকারী সংস্থার সদস্যরা নিহতের প্রতিবন্দ্বী পুত্র আব্দুল কাদের খানমজলিশ সেতুর সঙ্গে কথা বলে তার বক্তব্য বোঝার চেষ্টা করেন। তবে, মামলার ডকেটের ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৪ জুন সাভারের দক্ষিপাড়ার বাসায় প্রতিবন্ধী পুত্রের সামনে নৃশংসভাবে সেলিমা খান মজলিশকে জবাই ও পেটে দুটি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। নিহতের ছোটভাই মো. শাফিউর রহমান খান শাফি বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিমা খানমজলিশ মারা যান। সাভার পৌর এলাকার আনন্দপুর পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে। মামলার তদন্ত পুলিশ, ডিবি, সিআইডি হয়ে পিবিআইয়ে ন্যস্ত হয়। নিহতের মেয়েরা একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করে সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। ১০ অক্টোবর সোমবার নিহতের দুই মেয়ে পারভীন খান মজলিশ ও ইলোরা খান মজলিশ দ্রুত তদন্ত নিষ্পত্তির জন্য প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ধানমন্ডির বাসভবনে স্বাক্ষাতের পর ১২ অক্টোবর বুধবার তারা পিবিআই প্রধান, পুলিশের অতিরিক্ত আইজি বনজ কুমার মজুমদারের সঙ্গে তার দপ্তরে দেখা করে মামলার তদন্তের ব্যাপারে তাগিদ দেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :