সংবাদ রিপোর্ট: সাভার নামাবাজারে ৭-৮টি গুদামে অবৈধ ভারতীয় চিনির বিপুল মজুদ গড়ে তুলেছে একটি চক্র। অবৈধ পন্থায় সীমান্ত পাড়ি দেওয়ার পরই বদল হচ্ছে এর বস্তা। ফ্রেশ কোম্পানির বস্তায় ভরে এসব চিনি দেশী বলে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে সাভারসহ সারাদেশে। এর মধ্যে সাভার বাজারের একাধিক সিন্ডিকেট ভারতীয় চিনি চোরাকারীদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। তারা প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে ট্রাকের পর ট্রাক-মণকে মণ চিনি তুলছে গুদামে। পরে তা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। জানা গেছে, সাভার বাজারের একতা এন্টারপ্রাইজ, সাহা এন্টারপ্রাইজসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। সুশান্ত সাহা, সুভাষ সূত্রধর, গৌতম সাহা, দুলাল সাহা, মহেন্দ্র ঘোষ, সারদা, শংকর ঘোষ ও পিয়াল সাহা সরাসরি ভারতীয় চিনি মজুতের সঙ্গে জড়িত। বাজারের অন্যতম ব্যবসায়ী শ্যাম বণিক জানান, অসাধু চক্র বস্তা বদল করে ভারতীয় চিনি দেশে এনে বিক্রি করছে। এতে দেশে চিনির বাজার মার খাচ্ছে।
সংকট দেখিয়ে চিনির দাম বাড়ানো হচ্ছে। রোজার মধ্যে সাভার বাজারের বিভিন্ন গুদামে এমন চিনি মজুদ করা হয়েছে কয়েকশো মণ। এর মধ্যে সেগুলি বিক্রিও হয়ে গেছে অনেক। বাজারের ভেতরে বাশপট্টি এবং শ্মশানের আশপাশে রয়েছে এসব চিনির গুদাম। সুশান্ত সাহা এবং দুলাল সাহা একটি চক্রের কাছ থেকে ভারতীয় চিনি কেনার কথা স্বীকার করে বলেছেন, বাজার ভরাই ভারতীয় চিনি। ব্যবসায়ীদের মতে, ভারতীয় চিনি একটু লালটে ধরনের এবং মোটা। অবৈধ পথে এসব চিনি আনলেও লাভ অনেক বেশি। গুড়, তালমিছরী ও সাজ তৈরিতে এসব চিনি বেশি কাজে লাগে। মিষ্টির দোকানদাররাও এসব চিনি কিনছে। সাধারণ মানুষ না বুঝে দেশী চিনি ভেবে এসব কিনে আসছে। যা গ্রাহক ঠকানো ও প্রতারণা। স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে নির্বিকার। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ ও প্রশাসনের অনেকের মাসোয়ারা পেয়ে থাকেন নিয়মিত।
Leave a Reply