1. kamruzzaman78@yahoo.com : kamruzzaman Khan : kamruzzaman Khan
  2. ssexpressit@gmail.com : savarsangbad :
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন

সাভারে কিশোর গ্যাং লিডার নয়ন গ্রেপ্তার

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৮ জুন, ২০২২

সংবাদ রিপোর্ট: সাভারে কিশোর গ্যাং সদস্যদের মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় ছুরিকাঘাতে আলোকচিত্রী কৃষ্ণ সরকার খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত কিশোর গ্যাং লিডার নয়ন মনি ওরফে বাউল নয়নকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ৮ জুন বুধবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর। নিহত কৃষ্ণ সরকার ঢাকার সাভার থানার নোয়াদ্দা গ্রামের মৃত ননীগোপাল সরকারের ছেলে। তিনি রাজধানীর মগবাজারে ওয়েডিং প্যারডাইস নামের একটি স্টুডিওতে সাত বছর ধরে ফটোগ্রাফারের কাজ করতেন। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তাধর বলেন, ‘গত ৩০ মে ঢাকার সাভারের আড়পাড়া গ্রামের জমিদার বাড়ির পুকুরপাড়ে বখাটে যুবকদের মাদক সেবনের প্রতিবাদ করেন কৃষ্ণ সরকার। এ ঘটনায় নয়ন মনি ওরফে বাউল নয়ন ও তার তিন সহযোগী কৃষ্ণকে মারধর এবং ছুরিকাঘাত করেন। এসময় গুরুতর আহত কৃষ্ণকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক দিন তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ৩ জুন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সাভারে মানববন্ধন করে। পরে সিআইডির এ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, সিআইডির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় ঘটনাস্থল ও বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এরপর ওই তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকা থেকে বাউল নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার নয়ন মনির বরাত দিয়ে মুক্তাধর বলেন, ‘তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। তিনি বেকার ও নেশাগ্রস্ত। গত ২৩ মে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে শ্বশুর বাড়ি সাভারের আড়পাড়ায় আসেন। বাউল নয়ন সাভার এলাকায় থাকার সময় প্রায়ই বন্ধুদের নিয়ে জমিদার বাড়ি পুকুরপাড়ে অবস্থান করেন এবং নেশা করেন। এছাড়াও তারা উচ্চস্বরে অশ্লীল গান বাজনা করতেন। বিষয়টি এলাকার নারী শিশুদের কাছে অসহনীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। এই আড্ডার প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসেন কৃষ্ণ সরকার। প্রসঙ্গত, গত ৩০ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে কৃষ্ণ তার কর্মস্থল থেকে বাসায় যাওয়ার পথে ওই জায়গায় বখাটেদের আড্ডা দিতে দেখে তাদেরকে সেখান থেকে চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। অনুরোধ না শুনে তারা সেখানে আড্ডা দেবেন বলে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে বাউল নয়ন ও তার তিন সহযেগী মিলে কৃষ্ণকে মারধর শুরু করেন। পরে নয়ন তার পকেটে থাকা ছুরি দিয়ে কৃষ্ণের বুকে পেটে আঘাত করেন। তাকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত ৩১ মে সাভার থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :