সংবাদ রিপোর্ট: সাভারের বনগাঁও ইউনিয়নের দরগাপাড়া এলাকায় কাঠের গুড়া ও রঙ দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়েল তৈরি করা হচ্ছে একটি কারখানায়। আবাসিক এলাকায় এসব অবৈধ কয়েল তৈরির কারখানার বিষাক্ত ধোওয়ায় এলাকার পরিবেশ বিপর্যয় এর পাশাপাশি জীব বৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছেন। অবৈধ এসব কারখানার চুলায় ব্যবহার করা হচ্ছে অবৈধ গ্যাস সংযোগ যার ফলে ওই এলাকার আশেপাশের মানুষজন রান্নার চুলায় গ্যাসের প্রেসার পাচ্ছেন না। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,দরগাপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ফিরোজ নামের এক ব্যক্তি টিনসেড একটি কারখানায় শিশু শ্রমিক দিয়ে রঙ ও কাঠের গুড়া দিয়ে ঝুুকিপূর্ণ ভাবে কয়েল তৈরি করে ক্রেতাদের সাথে প্রতারণা করে বাজারে দামি ব্রান্ডের কয়েল বলে বিক্রি করছেন। যার ফলে দোকান থেকে ক্রেতারা কয়েল কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ও সেইসব নকল ব্রান্ডের কয়েল ঘরের মধ্যে মশা তাড়ানোর জন্য জ্বালালে মানুষজন নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অবৈধভাবে আবাসিক গ্যাস ব্যবহার করে চলছে এসব অনুমোদনহীন কয়েল তৈরির কারখানা। এতে একদিকে যেমন লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অপরদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব এলাকায় বসবাস করছেন সাধারণ মানুষ। এসকল কয়েল তৈরির কারখানাগুলো বাহির থেকে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শ্রমিক ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে কার্যক্রম । এসবের বেশিরভাগ কারখানাই ফায়ারইকুপম্যান্ট দেখা যায়নি। একটি দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারেন কারখানার অনেক শ্রমিক। অপরিচিত কোনো ব্যক্তিকে কারখানার ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। অবৈধ গ্যাস দিয়ে কয়েল তৈরি করায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে লাইন কেটে দেওয়ার কয়েক দিন ব্যবসা বন্ধ করে কারখানাগুলো অনত্র স্থানান্তর করে পূর্বে ন্যায় এই অবৈধ ব্যবসা আবারও পরিচালনা করে আসছেন তারা। এই অবৈধ ব্যবসায়ীদের বেশিরভাগ মালিকেরই পরিবেশের ছাড়পত্রসহ নেই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। এক্ষেত্রে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে প্রতিনিয়তই চলছে তাদের কাজ। অবৈধ এসব কয়েল তৈরির কারখানায় ছবি তুলতে গেলে কারখানার মালিকরা সাংবাদিকদের দেখে উচ্চস্বরে বলেন প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই তারা অবৈধ ভাবে কয়েল তৈরি করছেন তাই নিউজ করলে কিছুই হবে না তাদের আরও পরিচিতি বাড়বে।
অবৈধ এসব কয়েল তৈরির কারখানার মালিকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন সারা দেশে অবৈধভাবে এ ব্যবসা চলছে, তাই আমরাও করছি। এরমধ্যে প্রশাসনকে কিছু দিয়ে কোনমতে করতেছি ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,এক এলাকায় একাধিক অবৈধ কয়েল কারখানার কারণে একদিকে যেমন নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। পাশাপাশি অবৈধভাবে এসব কারখানায় গ্যাস পোড়ানোর ফলে সবসময় গ্যাস সংকট দেখা দিচ্ছে বাসাবাড়িতে। এছাড়া বনগাঁও ইউনিয়নের,দাসপাড়া,কোন্ডাসহ বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় অবৈধ আরো ব্যাঙের ছাতার মতো কয়েল কারখানা গড়ে উঠেছে। এক এলাকায় এতগুলো কয়েল কারখানা হওয়ায় দিনের পর দিন ভোগান্তি বাড়ছে স্থানীয়দের।
এলাকাবাসী অবিলম্বে এসব অবৈধ কয়েল কারখানা বন্ধ করে এসব কারখানার মালিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
এবিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন,অবিলম্বে এসব অবৈধ কয়েল কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply