সংবাদ রিপোর্ট: সাভার পৌরসভাকে আধুনিক ও পরিকল্পিত পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। যাতে পরর্বর্তী প্রজন্ম সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে। যেখানে কোন চাঁদাবাজ থাকবে না। সন্ত্রাস থাকবে না। ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে। মা বোন রাস্তায় বেড় হলে নির্বিঘ্নে রাত বারোটার সময় বাড়িতে গেলেও কোন ইভটিজিংয়ের শিকার হবে না। পৌরসভার প্রতিটি নাগরিক শতভাগ নাগরিক সুবিধা পাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর খোরশেদ আলম। ৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে সাভার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের জামসিং এলাকায় শুকুরজান স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে তার সর্মথনে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এসময় তিনি আরও বলেন, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে উন্নয়ন কমিটি থাকবে। এ উন্নয়ন কমিটি ছুটির দিনে এলাকায় ঘুরে যেখানে ত্রুটি দেখবেন তাদের সেই রিপোর্ট অনুযায়ী সঙ্গে সঙ্গে সমাধান করা হবে। এ কমিটির সদস্য হবেন আপনারাই, হবে আইনশৃঙ্খলা কমিটিও। আমি বিএনপি করলেও মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে থাকবো দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য সমান। তিনি বলেন, সাভার পৌরসভা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি পৌরসভা। ১৯৯১ সালের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সাভার কলেজ মাঠে সাভার পৌরসভা ঘোষণা দেন। কিন্তু এত বছরও এই পৌরসভার কোন উন্নতি হয় নাই। যারা পৌরসভার দায়িত্বে ছিলেন তারা সুন্দর একটি পৌরসভার গড়ে তুলতে পারতো। তা না করে তারা নিজের ব্যক্তি স্বার্থটাই প্রাধান্য দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি বলেন, ইচ্ছামতো অটো রিকশার লাইসেন্স দিয়েছে। কিন্তু সেই অনুযায়ী পরিকল্পিতভাবে রাস্তা করা হয় নাই। যার ফলে এখন ঘর থেকে বেড় হলেই সাভারবাসিকে জ্যাম দেখতে হয়। তিনি বলেন, পৌরসভায় কোন মাদক থাকবে না। যদি কোন মাদকসেবী সুস্থ হওয়ার জন্য চিকিৎসা সামর্থ্য না থাকে। প্রয়োজনে আমার নিজ খরচে তাকে সুস্থ হওয়ার জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করাব। আপনারা দলমত নির্বিশেষে যেভাবে সাড়া দিয়েছেন তাতে আপনাদের সহযোগিতায় আমি পৌর মেয়র নির্বাচিত হব। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আদর্শে একটি স্মার্ট পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবো। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইয়াজউদ্দিন মাদবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হাজী মোঃ আব্দুল গফুর বাবুল, ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন মোল্লা, সমাজসেবক দেওয়ান আক্কাস আলী, বিএনপি নেতা ইউনুস খান, ছাত্রদল নেতা তাজ খান নাঈমসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।