সংবাদ রিপোর্ট: দীর্ঘ্য ১ যুগ পর মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী সাভারের নামাবাজার এলাকায় দখল হয়ে যাওয়া প্রায় ৮ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে এবং এসব জমি জনগনের প্রয়োজনে ব্যাবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলাম। ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে নামাবাজার এলাকায় উচ্ছেদ কার্যক্রমের অগ্রগতি এবং উদ্ধার করা সরকারী নদীর জমি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি বলেন, এখানে আরও অবৈধ স্থাপনা থাকলে অবশ্যই সেগুলো উচ্ছেদ করা হবে। তবে এটা সরকার অথবা জেলা প্রশাসকের একক দায়িত্ব না। জনগন যারা সরকারী জায়গা দখল করে তাদেরও দায়িত্ব জায়গাগুলো স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেয়া। এক্ষেত্রে মিডিয়ার পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীদের সহযোগীতার প্রয়োজন আছে। আমরা উচ্ছেদ কার্যক্রমের মাধ্যমে যে জমি উদ্ধার করেছি সেই সরকারী জায়গা জনগনের কাজেই লাগানো হবে। তবে জনগনের যাতে ক্ষতি না হয় সেই চেষ্টাটাও আমাদের থাকবে। বংশী নদীর অবৈধ দখলকে জঞ্জাল উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রায় এক যুগেরও অধিক সময় ধরে এই জঞ্জাল ঝুলতেছিলো। সকলের সহযোগীতায় আমরা মহামান্য হাই কোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেছি। এর আশে পাশে আরও যেসব অবৈধ স্থাপনা রয়েছে সেগুলোও পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে। তিনি আরও বলেন, এক যুগের জঞ্জাল সকল অবৈধ দখলদারদেরকে একত্রে উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। সাভার নামাবাজারে আমরা অবৈধ দখলে থাকা প্রায় ৮ একর জমি আমরা উদ্ধার করেছি এবং প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সরকারের প্রায় তিন’শ কোটি টাকার জমি দখল মুক্ত করা হয়েছে। অবৈধ জমি, খাল-বিল উদ্ধার করা সরকারের রুটিন ওয়ার্ক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা যেহেতু এতো বড় একটি উদ্যোগ সফলভাবে সমাপ্তি করতে পেরেছি, সেহেতু পর্যায়ক্রমে সকল অবৈধ দখল এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এজন্য অবৈধ দখলদাররা যেন এসব দেখে নিজেরাই দখল ছেড়ে দেয় এবং আমাদেরকে সহযোগীতা করে। উদ্ধার করা সরকারী জমি সম্পর্কে জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বলেন, এখন আমরা একটা পরিকল্পনা করবো যাতে করে উদ্ধারও হওয়া জমিগুলো পুনরায় বেদখল হয়ে না যায়। হাই কোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমরা দেখবো জমিগুলো যেন ব্যক্তি স্বার্থে না হয়ে জনগনের স্বার্থে ব্যাবহার হয়। এলাকার উন্নয়ন তথা সকলের কাজে আসে এমন কোন কাজে এই জমি ব্যবহার করা হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে তিনি সাভার মডেল থানা ও সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্প, গহনার গ্রাম পরিদর্শন করেন। এছাড়াও সাভার উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের নির্মানকাজের অগ্রগতি পরিদর্শনসহ গ্রাম পুলিশদের মাঝে নতুন পোশাক বিতরনসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ্রগহন করেন। এসময় তার সাথে আরও উপিস্থিত ছিলেন, সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার পৌর সভার মেয়র হাজী আবদুল গণি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply