ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে মাদক বিক্রেতা ও সেবনকারীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার। এতে ১৩ গ্রামের নারীপুরুষ ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করেন। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। সমাবেশে মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানতারা-বালিয়া আঞ্চলিক সড়কের গোমগ্রাম এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বুধবার বিকেলে মাদক বিক্রিকালে চারজন মাদক বিক্রেতাকে এলাকাবাসী গণধোলাই দেয়। এতে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে এক মাদক ব্যবসায়ীর স্ত্রী থানায় অভিযোগ দিয়েছে। মানববন্ধন শেষে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি সদস্য (১নং ওয়ার্ড) মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা শমসের আলী, গোমগ্রাম বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুরর রহমান পলাশ ও ছাত্রলীগ নেতা নওবিন শাকিল বাবু। তারা বক্তব্যে বলেন, যাদবপুর ইউনিয়নের গোমগ্রামের আবেদ আলীর ছেলে আতাউর রহমান ও খোকন মিয়া, খোকনের স্ত্রী সোনিয়া, একই গ্রামের মৃত সুলতান উদ্দিনের ছেলে রাসেল, বিলকুশনাই গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ের জামাই সেলিম হোসেন, মেয়ে নাছিমা বেগম, নাতি নাছির উদ্দিন, একই গ্রামের সুলতান উদ্দিনের ছেলে আবদুল খালেক ও আবদুল মালেক এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা, হেরোইন, ইয়াবা বিক্রি করে আসছে। তাদের কারণে এলাকায় মাদকসেবীদের আনাগোনা বেড়েছে। দিনদিন এলাকায় যুবকদের মাঝেও বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। এলাকায় চুরি, ছিনতাই বেড়ে গেছে। তাদের কারণে সন্ধ্যার পর ধানতারা-বালিয়া সড়কে চলাচল করতে ভয় পায় এলাকাবাসী। তারা একেক সময় একেক জনকে মারধর করে। মাদক বিক্রির প্রতিবাদ করলেই হকিস্টিক নিয়ে মারতে আসে। তাদের ভয়ে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। এসময় মাদক বিক্রেতাদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা। এমন পরিস্থিতিতে মাদককে না বলতে ও মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করতে একট্টা হয়েছে এলাকাবাসী। মানববন্ধনে আমরাইল, তেলিপাড়া, গোমগ্রাম খোলাবাড়ি, দেলুটিয়া, গাওতারা, বনেরচর, সাকরাইল, আটিগ্রাম, বিলকুশনাই, সাইট্টা, পঞ্চাশ ও পাঁচ লক্ষাধিক গ্রামের প্রায় পাঁচশতাধিক বাসিন্দা অংশগ্রহন করেন। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা মাদক বিরোধী মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বক্তারা বলেন, আগামীতে মাদক বিক্রি ও সেবনের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। মাদক বিক্রেতাদের যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই শায়েস্তা করা হবে। গোমগ্রাম বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, বুধবার বিকেলে মাদক বিক্রিকালে চার মাদক বিক্রেতাকে ধোলাই দেওয়া হয়েছে। এতে এলাকাবাসীর ২০জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছে মাদক বিক্রেতা আতাউর রহমানের স্ত্রী ঝুমুর বেগম। মাদক বিক্রেতা খোকনের বাবা আবেদ আলী বলেন, মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়া আমাকেও মারপিট করেছে খোকন। খোকনের বাবাও ছেলেসহ অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তিনি ছেলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও দিয়েছেন। ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতাউর রহমান বলেন, কোন মাদক বিক্রেতা যদি এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অভিযোগ দেয় তাহলে মাদক বিক্রেতার নামে উল্টো মামলা করা হবে।