ধামরাই প্রতিনিধি: ধামরাইয়ে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)। মামলা হওয়ার ১৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব। গ্রেফতাররা হলেন- রতন সাহা (৫০) ও মো. নুরুল ইসলাম ওরফে ঠান্ডু (৫০)। ২০ অক্টোবর বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র্যাব-৪। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভুক্তভোগীর ধামরাই থানাধীন নান্নার মধ্যপাড়া এলাকায় বসবাস করে আসছে। ভুক্তভোগীর মা গৃহিনী ও বাবা একজন ছোট ব্যবসায়ী। প্রতিদিনের মতো ভিকটিমের মা গত ১৪ অক্টোবর নিজ বাড়িতে রান্না করছিলেন। এসময় শিশুটি খেলার ছলে বসতবাড়ির পাশে রাস্তায় খেলতে গেলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গ্রেফতার আসামি রতন সাহা (৫০) ভিকটিমকে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের নান্নার গ্রামের শামসুল ফেরাজীর পাট ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরদিন সকালে ভিকটিমের মা লক্ষ্য করেন তার মেয়ে প্রচণ্ড ব্যাথায় কান্নাকাটি করছে। তখন ভিকটিমের মা এর কারণ জানতে চাইলে সে বিষয়টি খুলে বলে। ঘটনা স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর রওশন আরা ও মেম্বর নুরুল ইসলাম ঠান্ডুকে জানালে তারা মীমাংসার জন্য ভুক্তভোগীর পরিবারকে চাপ দেন। মীমাংসায় রাজি না হলে আসামি নুরুল ইসলাম ঠান্ডু বিষয়টি কাউকে জানালে এবং থানায় কোনো অভিযোগ করলে ভিকটিমের পরিবারকে এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি দেয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিমের চিকিৎসা বাবদ তার পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা দেয় এবং তার প্রমাণস্বরূপ তাদের কাজ থেকে জোরপূর্বক সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। ঘটনার পর গত ১৮ অক্টোবর ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এরপর আসামি নুরুল ইসলাম ওরফে ঠান্ডুকে ধামরাই এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মতে মূল আসামি রতন সাহাকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানাধীন মৌচাক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি রতন সাহা ভিকটিমকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে পাট ক্ষেতের ভিতর নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানায় র্যাব-৪।
Leave a Reply