ধামরাই প্রতিনিধি: মা তুমি কোথায়? ফিরে এসো মা, ফিরে এসো। হে আল্লাহ তুমি মায়ের সন্ধান মিলিয়ে দাও। এভাবেই আকুতি জানিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন নিখোঁজ সোনা ভানুর (৮০) সন্তান। গত ১০ মে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থেকে নিজ বাড়ি ধামরাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি। পরে নিকটাত্নীয়সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়েও মায়ের কোন খোঁজ পাচ্ছেন না ছেলে। এরপর থেকেই গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-বাজারে মায়ের সন্ধান করছেন তিনি। ৩ জুলাই সোমবার বিকেলে ধামরাইয়ের ধানতারা বাজারে দেখা হয় সোনা বানুর সন্তানের সঙ্গে। তার মা থাকতেন ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের ছোট বাইল্লা গ্রামে বড় ভাইয়ের কাছে। গত ৯ মে বাড়ি থেকে বের হয়ে একা তার মা সোনা ভানু চলে যান টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নানার বাড়ি। পরদিন ধামরাই ফিরবেন বলে তিনি রওয়ানা দেন। কিন্তু তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি।
আব্দুল মালেক জানান, সোনা ভানু কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন। তবে একা চলাফেরা করতে পারতেন। ২ মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মায়ের খোঁজ না পাওয়ায় তিনি ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছেন। মাকে খুঁজতে থানায় জিডি করাসহ আশপাশের সকল স্থানে খোঁজ নেই। এলাকায় একটানা মাইকিংও করা হয়েছে। দিয়েছেন হারানো বিজ্ঞপ্তি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আব্দুল মালেক বলেন, আমাদের বাবা নেই। মা একমাত্র অভিভাবক। তাকে হারিয়ে ফেলেছি। মা কোথায় আছে, কেমন আছে, কীভাবে আছে জানি না। থানায় অভিযোগ করেছি, তারাও কিছু বলতে পারেনি। এখন মানুষের কাছে ঘুরে ঘুরে মাকে খুঁজছি। আমরা আমার মাকে আমাদের কাছে ফিরে পেতে চাই। ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি পেয়েছি। পরিবার জানিয়েছে তার বয়স ৭৫-৮০ বছর। গায়ের রং শ্যামলা, নিখোঁজের সময় তিনি শাড়ি কাপড় পরিহিত ছিলেন। তার হাতে কাপড়ের গাট্টি ছিল। তিনি কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীনও ছিলেন। তাকে খুঁজতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি প্রচার করা হয়েছে। তার সন্ধান চলছে।
Leave a Reply