আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় গ্যাস লিকেজের আগুনে ৬ জন দগ্ধের ঘটনায় নজরুল ইসলাম (৩৪) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মারা গেলেন ২ জন। ১৮ আগস্ট শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, নজরুলের শরীরে ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
গত শনিবার রাত ৮টার দিকে আশুলিয়া ধানসোনা ইউনিয়নের নতুন নগর এলাকার একটি টিনশেড বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ৫০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান গার্মেন্টসকর্মী সাবিনা বেগম (৪০)। দগ্ধ অন্যরা হলেন, দোকানদার মহসিন হোসেন (২৭) ও তার মা কমলা বেগম (৫০), কারখানা কর্মচারী সাদেকুল (৩০) ও চাকরিজীবী মো. হাশেম মিয়া (৫০)। তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সাবিনার স্বামী মোতালেব হোসেন জানান, তারা ধানসোনা ইউনিয়নের নতুন নগর এলাকার শফিকের সেমিপাকা টিনশেড বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে ভাড়া থাকেন। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে তিনি বাইরে থেকে বাসায় যাচ্ছিলেন। বাসার কাছাকাছি আসলে বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। তখন দৌড়ে বাসা গিয়ে দেখেন, তাদের ঘরসহ পাশের কয়েকটি ঘরে আগুন জ্বলছে এবং প্রচণ্ড ধোয়া বের হচ্ছে। পরে অন্য ভাড়াটিয়াদের সাহায্যে কয়েকটি ঘর থেকে ওই ছয়জনকে বের করে আনা হয়। পরে স্থানীয় হাসপাতাল নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাদের রাতেই বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। মোতালেব আরও জানান, সেমিপাকা টিনশেড ঘরগুলোতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে রান্নার কাজ করেন সবাই। ধারণা করা হচ্ছে, রান্না করার সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, বর্তমানে সাদেকুল ৫০ শতাংশ, হাশেম ৪৫ শতাংশ, কমলা বেগম ২০ শতাংশ, ও মহসিন ১০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছে।
Leave a Reply