আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় যাত্রীবেশে বস্তা তুলে দেয়ার কথা বলে চালককে কৌশলে নামিয়ে দিয়ে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় চোর চক্রের এক নারী সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। ১০ জুলাই সোমবর দুপুরে আটক নারীকে আশুলিয়া থানা থেকে ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে, রোববার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বলিভদ্র বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইজিবাইক চুরি করে পালানোর সময় তাকে হাতেনাতে আটক করে পথচারীরা। পরে তাকে আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটক মোছা. নূর নাহার খাতুন (২৫) ময়মনসিংহ সদর থানার আনন্দিপুর গ্রামের মৃত জব্বার খানের মেয়ে। তিনি গাজীপুরের বাসন এলাকায় ভাড়া থাকেন। এর আগে পোশাক কারখানায় চাকরি করলেও বর্তমানে বেকার সে। ভুক্তভোগী ইজিবাইক চালক মাহবুব হাসান (১৭) নওগা জেলার আত্রাই থানার শাহীন আলমের ছেলে। বর্তমানে আশুলিয়ার মোজার মিল এলাকায় ভাড়া থাকেন। এ ঘটনায় মাহবুবের বাবা শাহীন আলম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
শাহীন আলম বলেন, আমার ছেলে ভাড়া করে আরেক জনের ইজিবাইক চালায়। ওই নারীর সাথে আরও এক নারী ও দুইজন পুরুষ ছিল। তারা আশুলিয়ার জিরানী থেকে ইজিবাইক ভাড়া করে বলিভদ্র পর্যন্ত যাওয়া-আসার জন্য। মাঝ পথে গাড়ি থামিয়ে আমার ছেলেকে দিয়ে বস্তা আনা নেওয়া করতে চেয়েছিল, তখন আমার ছেলে গাড়ি ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি। পরে নূর নাহারের ৩ সহযোগী মালামাল আনতে যায়। কিন্তু নুর নাহার ইজিবাইকেই বসে থাকে। ২০-২৫ মিনিট পরে তাদের মধ্যে ২ জন বস্তা নিয়ে ফিরে আসে। পরে গাড়ি থেকে একটু দূরে বস্তা রেখে আমার ছেলেকে বলে গাড়িতে উঠিয়ে দিতে। আমার ছেলে বস্তা আনতে গেলেই নূর নাহারের আরেক সহযোগী পুরুষ গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমার ছেলে বুঝতে পেরে চোর চোর বলে চিৎকার করে উঠলে আশেপাশের পথচারীরা ধাওয়া করে। পরে চালক পালিয়ে যায়। আর নূর নাহার পালানোর চেষ্টা করলে ধরা পড়ে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল মোল্লা বলেন, আসামিকে স্থানীয় জনতা হাতেনাতে আটক করে ও ইজিবাইক উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা এরা চোর চক্র। ভুক্তভোগীর পরিবারের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে আরো যারা জড়িত আছে তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply