আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় ছিনতাই করা অটোরিকশা বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে অপর অটোরিকশায় উঠে টাকা ভাগাভাগি ও ছিনতাইয়ের গল্প করে জনতার হাতে আটক হয়েছেন তিন ছিনতাইকারী। পরে তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। ২ অক্টোবর সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের কবিরপুর তেলিবাজার এলাকায় অটোরিকশাচালকের সহায়তায় তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি চাপাতিসহ তিনটি ছুরি জব্দ করা হয়।
আটক ছিনতাইকারীরা হলেন- টাঙ্গাইলের ঘাটাইল এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে মানিক (১৯), লালমনিরহাটের উত্তর বালা পাড়া এলাকার আদম আলীর ছেলে জুয়েল (২১) ও মানিকগঞ্জের কুলিয়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে তারেক (১৮)। তারা আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে অটোরিকশা ছিনতাই করে সস্তায় বিক্রি করতেন। স্থানীয়রা জানায়, গত রবিবার বিকেলে আশুলিয়ার জিরানী বাজার থেকে একটি অটোরিকশায় উঠে তারা শিমুলিয়ার আমতলায় যান। আগে থেকে ঠিক করা নির্জন স্থানে নিয়ে অটোরিকশাচালকের গলায় ছুরি ধরে হত্যার হুমকি দেয়। পরে সেখান থেকে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান ছিনতাইকারীরা। ওই ছিনতাই করা অটোরিকশাটি তারা গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ঝালসুকা এলাকায় নিয়ে মাত্র ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এসব তথ্য ছিনতাইকারীরা জনতার সামনে স্বীকার করেছেন। রিকশাচালক সজিবের সচেতনতায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়েছে।
অটোরিকশাচালক সজিব মিয়া বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় বাড়ইপাড়া যাওয়ার জন্য এই তিন ছিনতাইকারী আমার অটোরিকশায় ওঠেন। বাড়ইপাড়াসহ বিভিন্নস্থানে তারা ১ ঘণ্টা ধরে ঘুরে বেড়ান। এসময় তারা ছিনতাই করা অটোরিকশা বিক্রির টাকা ভাগাভাগি ও কিভাবে ছিনতাই করেছিল এসব নিয়ে কথা বলছিল। আমি তাদের সব কথায় শুনে বুঝতে পারি তারা ছিনতাইকারী। পরে নামার সময় আমার হাতে ৫০ টাকা দিয়ে বলে আর কোনো টাকা দিতে পারবে না। এরপর আমি আমার পরিচিত এক ভাইয়ের সাহায্যে স্থানীয়দের জড়ো করে ওই তিন ছিনতাইকারীকে আটক করি। এ সময় তাদের কাছ থেকে চাপাতি আর তিনটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। এব্যাপরে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র রায় বলেন, গত রবিবার অটোরিকশা থেকে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আটককৃতরা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এখানে অটোরিকশাচালক সজীব দারুণ ভূমিকা পালন করছেন।
Leave a Reply