1. kamruzzaman78@yahoo.com : kamruzzaman Khan : kamruzzaman Khan
  2. ssexpressit@gmail.com : savarsangbad :
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৬ অপরাহ্ন

সাভারের স্কুলছাত্রী নীলা হত্যা মামলায় আদালতে ভাইয়ের সাক্ষ্য

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

সংবাদ রিপোর্ট : সাভারে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রী নীলা রায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিজানুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তার (নীলা) ভাই অলক রায়। ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস ওয়াহিদের আদালতে তিনি জবানবন্দি দেন। এদিন তার জবানবন্দি শেষ না হওয়ায় অবশিষ্ট জবানবন্দি ও জেরার জন্য আগামী ১৬ মার্চ দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে, এ মামলার বাদী নীলার বাবা নারায়ণ রায়ের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ। গত বছরের ৩ আগস্ট এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ভারপ্রাপ্ত পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান। মামলার আসামিরা হলেন— মিজানুর রহমান চৌধুরী, তার বন্ধু সাকিব হোসেন ও সেলিম পাহলান। ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নির্মল কুমার দাস। এছাড়া অভিযোগের প্রমাণ না মেলায় আসামি মিজানুরের বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে আটটি আলামতের কথা উল্লেখ করাসহ ১৩ জনকে সাক্ষী করা হয়। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা ও তার ভাই অলক রায়ের গতিরোধ করেন মিজানুর। পরে তার ভাইয়ের কাছ থেকে নীলাকে ছিনিয়ে নিয়ে পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মিজানুর। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নীলাকে ছুরিকাঘাত করে তিনি পালিয়ে যান। পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নীলাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নীলার বাবা নারায়ণ রায়।  ঘটনার পর ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাট এলাকা থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাতদিনের রিমান্ড শেষে ১ অক্টোবর ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব আহসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পরে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। এদিকে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান অন্য দুই আসামি সাকিব ও সেলিম। নীলা মানিকগঞ্জ জেলার বালিরটেক এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ রায়ের মেয়ে। সে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনির অ্যাসেড স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :