1. kamruzzaman78@yahoo.com : kamruzzaman Khan : kamruzzaman Khan
  2. ssexpressit@gmail.com : savarsangbad :
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন

সাভারে সেলিমা খানমজলিশ খুনের তদন্ত শেষ হয়নি ১১ বছরেও

  • আপডেট সময় : সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২

সংবাদ রিপোর্ট : সাভারের সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম সামসুদ্দোহা খানমজলিশের স্ত্রী মোসা. সেলিমা খান মজলিশ হত্যা মামলার তদন্ত ১১ বছরেও শেষ হয়নি। পুলিশ, ডিবি, সিআইডি হয়ে মামলার তদন্তভার পিবিআইয়ে ন্যস্ত হলেও রহস্যের কুলকিনারা হচ্ছে না। নিহতের সন্তানরা এনিয়ে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করে সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। সর্বশেষ ১০ অক্টোবর সোমবার নিহতের দুই মেয়ে পারভীন খান মজলিশ ও ইলোরা খান মজলিশ দ্রুত তদন্ত নিষ্পত্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা জেলা পিবিআইয়ের সাব-ইন্সপেক্টর সালেহ ইমরান বলেছেন, মামলার তদন্ত এখনো চলছে। তদন্তের প্রয়োজনে নতুন করে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। অনেক তথ্য যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। নিহতের মেয়েরা দাবি করেছেন, ২০১১ সালের ১৪ জুন সাভারের দক্ষিপাড়ার বাসায় নৃশংসভাবে সেলিমা খান মজলিশকে জবাই ও পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যার ১১ বছর পরও খুনি কে বা কারা তা কেউ জানতে পারছে না। খুনের কারণও অজানা। ঘটনাস্থল উদ্ধারকৃত চাকু, রক্তমাখা গ্লাসের ফরেনসিক পরীক্ষা, ঘটনার পর উপস্থিত লোকজনের ফিঙ্গার প্রিন্ট টেষ্ট, আশপাশের বাসিন্দাদের জবানবন্দি গ্রহন ও পুনরায় যাচাই বাছাইয়ের দাবি করেছেন তারা। এমনকি এজাহারে কোনো অসঙ্গতি ছিল কিনা বা গুরুত্বপূর্ন কোনো কিছু বাদ পড়েছে কিনা তা যাচাই বাছাইয়ের দাবি করেছেন তারা। হত্যাকারী যে বা যারাই হোক না কেন তারা তাদেরকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের দাবি, সেলিমা খান মজলিশ যখন রক্তাক্ত অবস্থায় বাসার ভেতরে পড়ে ছিলেন সেখানে নিচতলার গৃহকর্মী সরলাম স্বামী কী কারণে উপস্থিত ছিলেন সে প্রশ্নের সদুত্তর মিলছে না। এমনকি নিহতের কয়েকজন স্বজনকে ঘিরে অনেক সন্দেহ ঘুরপাক খেলেও তদন্তে গতি মিলছে না। প্রসঙ্গত, সেলিমা খানমজলিশ খুনের পর তার ছোটভাই মো. শাফিউর রহমান খান শাফি বাদি হয়ে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিমা খানমজলিশ মারা যান। সাভার পৌর ঐলাকার আনন্দপুর পারিবারিক কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :