সংবাদ রিপোর্ট: সাভারে বৃদ্ধা হাজেরা খাতুন (৭৩) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ছয় মাস পর এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অনেকের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য পরিকল্পিত এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ৭ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছেন সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা। এর আগে ৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার গভীর রাতে সাভারের সিআরপির ডগরমোরা এলাকার হাফিজুর রহমানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ওই ঘাতকের নাম- মমতাজ পারভীন (৪৭), তিনি ফেনী জেলা সদরের নতুনবাড়ি গ্রামের মৃত মফিজুর রহমানের মেয়ে। মমতাজ সাভারের সিআরপির ডগরমোরা এলাকার হাফিজুর রহমানের বাসায় ভাড়া থাকতেন। নিহত হাজেরা খাতুন (৭৩) সাভারের দক্ষিণ সবুজবাগের বিনোদবাইদ এলাকার মৃত মফিজুর রহমানের স্ত্রী। তিনি তার ফ্ল্যাটে একাই বসবাস করতেন। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, সাভারের দক্ষিণ সবুজবাগের বিনোদবাইদ এলাকায় চলতি বছরের গত ২৮ জুন বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে বৃদ্ধার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে মমতাজ পারভীন। বোরখা পরিহিত মমতাজ ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে হাজেরা খাতুনের হাত-পা রশি দিয়া বেঁধে ও মুখে স্কসটেপ পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যান। এ সময় ঘরের কোনো কিছু না নিয়ে শুধু নিহতের মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যান মমতাজ। বোরখা পড়ে ঘরে প্রবেশ করায় তাকে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মীসহ সিসি ক্যামেরায় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পরে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে মমতাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এই হত্যাকাণ্ডটি পরিকল্পিত। এর সঙ্গে অনেকের স্বার্থ জড়িত। হত্যাকাণ্ডের পেছনে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছেন। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি তথ্য দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। পরবর্তীতে আরও তথ্য জানানো হবে।
Leave a Reply