সংবাদ রিপোট : সাভারের বংশী নদীর পাশের জমির ইজারা দেওয়ার সব নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১ আগস্টের মধ্যে সাভারের ইউএনওকে এসব নথি আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ১৮ জুলাই মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিল-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার বাকির হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ২০ জুন সাভারের বংশী নদীর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর আবার দখল হয়ে যাওয়ায় তার ব্যাখ্যা দিতে ইউএনওকে তলব করেন হাইকোর্ট। আদালতের তলবে মঙ্গলবার হাজির হয়েছিলেন ইউএনও মাজহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, বংশী নদীর আশেপাশের খাস জমি জেলা প্রশাসন লিজ দিয়েছে। এ সময় আদালত নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন দাখিল না করায় ইউএনওকে ভর্ৎসনা করেন। আইনজীবী বাকির হোসেন বলেন, হাইকোর্ট বংশী নদীর জায়গা দখলমুক্ত করে সাভারের ইউএনওকে প্রতিবেদন দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এমনকি নদীর জায়গা দখলমুক্ত করেননি। এ কারণে আমরা তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলাম। আদালত সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে সাভারের ইউএনওকে তলব করেছিলেন।
‘সাভারের বংশী নদী : উচ্ছেদের পর দখল-উৎসব’ শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্র চার মাস আগে উচ্ছেদ অভিযানে দখলমুক্ত করা সাভারের বংশী নদীর জায়গা দখলের উৎসব শুরু হয়েছে। উচ্ছেদ করা টিনের স্থাপনার জায়গায় নজরদারির অভাবে এবার নির্মিত হচ্ছে পাকা স্থাপনা। তা-ও দিনের বেলায়। প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করতে ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির নামে দখলদারদের কাছ থেকে চাঁদা তোলা হচ্ছে। এ চাঁদা-বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ দখল চলছে সাভারের নামা বাজার এলাকায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেছেন, উচ্ছেদের পর কেউ দখল করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply