সংবাদ রিপোর্ট: নিরবচ্ছিন্ন আবাসিক গ্যাস না পাওয়ায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাভার আঞ্চলিক অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। ১৩ আগস্ট রবিবার দুপুরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিমুলতলা এলাকায় তিতাস গ্যাস অফিস ঘেরাও করেন উপজেলার তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ৮ গ্রামের গ্রাহকরা। বিক্ষোভকারীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পানপাড়া, নয়াপাড়া, দত্তপাড়া, ভাওয়ালিয়াপাড়া, কুটিবাড়ি, মাঝিপাড়া ও কৃষ্ণনগর এলাকায় গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। আমাদের ভাড়াটিয়ারা বাসা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। সকালে না খেয়ে অফিসে যেতে হচ্ছে। অনেকে হোটেলে খেয়ে অনেক কষ্টে অফিস করছেন। বার বার গ্যাস অফিসে অভিযোগ ও যোগাযোগ করেও কোন সুফল মিলছে না। এর আগেও তিতাস অফিস ঘেরাও করে অবস্থান নিয়েছিল গ্রাহকরা। গ্যাস দেওয়ার আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচী তুলে নেওয়া হয়। কিন্তু তিতাস অফিস তাদের দেওয়া কথা রাখেনি। গ্যাস না দিয়ে শুধু শুধু আমাদের কাছ থেকে বিল নেওয়া হচ্ছে। গ্যাস না দিলে আমরা লাগাতার কর্মসূচী ঘোষণা করবো। স্থানীয় বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, গ্যাসের অভাবে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। প্রতিটি মানুষ রান্না করতে না পারায় না খেয়ে দিন যাপন করছে। এলাকার পোশাক শ্রমিক, ভাড়াটিয়ারা অন্যত্র চলে যাচ্ছে। অপর বাসিন্দা জামাল হোসেন বলেন, গ্যাসের জন্য রান্না করতে না পারায় অনেকেই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে হোটেল থেকে খাবার কিনে খাচ্ছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মিন্টু মিয়া জানান, গ্রাহকরা তাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে তিতাস অফিস ঘেরাও করে অবস্থান নিয়েছিলেন। বর্তমানে গ্রাহকরা অবস্থান কর্মসূচী তুলে নিয়েছেন। আমিও চাই গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ করা হোক।
সাভার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আবু সালেহ মোহাম্মদ খাদেমুদ্দিন বলেন, ওই এলাকায় গ্রাহকরা গ্যাস পাচ্ছিলেন না। তারা আমাদের সাথে কথা বলতে এসেছিলেন। তারা আশ্বস্ত হয়েছেন। আসলে গ্যাস সরবরাহের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকায় গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। সেখানে গ্যাস না পাওয়ার কারণ উদঘাটন করে আমরা সমাধানের চেষ্টা করবো। এ ব্যাপারে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেডের সাভার আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার অজীত চন্দ্র দেব বলেন, ঐ এলাকার বিভিন্ন ওয়াশিং ফ্যাক্টরি গ্যাস টানার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে গ্যাস সরবরাহ করে থাকে এজন্য সেই এলাকার আবাসিক বাড়িগুলো নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে গ্যাস পাচ্ছে না। এছাড়া সাভারে কিছুটা গ্যাস সংকটের কারণেও এই সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সাত দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব। আপনারা জনপ্রতিনিধিরা ও এলাকাবাসী সকলে আমাদের পাশে থাকবেন।
Leave a Reply