সংবাদ রিপোর্ট: সাভারে মতবিরোধের জেরে সিরাজুল ইসলাম (২৬) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে মারাত্মক জখম করেছে তারই বন্ধুরা। বর্তমানে সে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। আহত সিরাজুল ধামরাইয়ের ফোর্ডনগর এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে এবং সাভার সরকারি কলেজের ডিগ্রী (বিবিএস) ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। মামলার আসামিরা হলেন, সাভারের বক্তারপুর এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে ইমন (২৮) এবং একই এলাকার নিলয় (২৪), সুজন (২৪), ও ফাহাদ (২৪)। এদিকে মামলা দায়েরের চারদিন পার হলেও এখনো অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
আহতের বাবা ও মামলার বাদী বাদশা মিয়া (৫৮) জানান, ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমার ছেলের মুঠোফোনে কল করে বাড়ি থেকে সাভারের বক্তারপুর মাঝিপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযুক্ত ইমনের অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে বাকী অভিযুক্তরা মিলে আমার ছেলে ওই অফিস থেকে বের করে পার্শ্ববর্তী একটি বালুর গদিতে নিয়ে গিয়ে ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে আমার ছেলের বুকে মারাত্মকভাবে ছুরিকাঘাত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার পরিবার জানায়, ২৩ অক্টোবর সোমবার সিরাজুলের অপারেশন সম্পন্ন হলেও অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। বর্তমানে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
আহত সিরাজুলের মামা মিন্টু আহমেদ অভিযোগ করেন, কয়েকমাস পুর্বে আমার ভাগিনার সাথে রেস্টুরেন্টের চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে তারই বন্ধু ইমনের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি মিমাংসা হলেও সেই ক্ষোভের জেরে সিরাজুলকে ডেকে নিয়ে তারা এ হামলার ঘটনা ঘটায়। এদিকে গত ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মামলা দায়েরের পর আজ চারদিন পার হলেও এখনো আসামিদের মধ্যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আমরা আমার ভাগিনার উপর এই হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই এবং অতি দ্রুত আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানাই। এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব্বির হোসেন জানান, খবর পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। আহতের পরিবারের দাবি আগের কোনো বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর থেকেই আসামিরা এলাকা ছাড়া তবে তাদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply