সংবাদ রিপোর্ট : সাভারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। বেড়েছে খুন, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা। আছে নিরব চাঁদাবাজি। অবৈধ অস্ত্রধারীদের আনাগোনা বেড়েছে। নিয়ন্ত্রণে নেই মোটরসাইকেল মহড়া। মাত্র সাড়ে তিন মাসের ব্যবধানে দু’জন অফিসার ইনচার্জ বদল হলেও জনমনে স্বস্তি নেই। থানার রেকর্ডে অনেক অভিযোগ না থাকলেও হেনস্তার অভিযোগ অনেক। এর মধ্যে কিশোর গ্যাং নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এক মাসের মধ্যে চারটি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সাভার পৌর এলাকায়। সর্বশেষ ১২ এপ্রিল শুক্রবার হত্যার শিকার হয়েছেন রঙ মিস্ত্রী সাজ্জাদ হোসেন। এ ঘটনায় আলামীন নামে একজনকে কুষ্টিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহ্যত চাকু উদ্ধারের কথা দাবি করেছে পুলিশ। প্রতিটি হত্যায় কিশোর গ্যাং জড়িত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। যদিও পুলিশ বিষয়টিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বলে মানতে নারাজ।
জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল শুক্রবার রাতে সাভার পৌরসভার আড়াপাড়া বালুর মাঠ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে মারা যান ফার্নিচারের রঙ মিস্ত্রি সাজ্জাদ হোসেন। তিনি পরিবার নিয়ে থাকতেন পৌরসভার রাজাশন মহল্লায়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার স্বপনের নেতৃত্বে হামলা হয় সাজ্জাদের ওপর। প্রথম আঘাটি করে কিশোর গ্যাং সদস্য আলামীন। দল নেতা স্বপনসহ দলের অন্যান্যদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। নিহত সাজ্জাদের খালা জানান, তার পাঁচ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের পরিবারে আয় করার মতো আর কেউ নেই। সাভার নাগরিক কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কৃষিবিদ ড. রফিকুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ আসলে ব্যর্থ। এখানে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া দরকার। গত ১১ মার্চ রাতে বিনোদবাইদে কাঠমিস্ত্রি সোহেল, ২১ মার্চ সোবহানবাগে আমজাদ এবং ২৮ মার্চ ছায়াবিথী আঙ্গিনায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শহীদুলকে হত্যা করে কিশোর গ্যাং। সাধারণ মানুষের হিসাবে গোটা সাভার আশুলিয়ায় ৫০টির মত কিশোর গ্যাং এর অস্তিত্ব আছে। যদিও পুলিশ এ ব্যাপারে কোন পরিসংখ্যান দিতে পারে না।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ জামান জানান, গোটা সাভারে কিশোর গ্যাং এর দৌরাত্ম্য বেড়েছে। গত এক মাসে সাভারের আলোচিত চারটি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এরা জড়িত।
Leave a Reply