1. kamruzzaman78@yahoo.com : kamruzzaman Khan : kamruzzaman Khan
  2. ssexpressit@gmail.com : savarsangbad :
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:২৭ অপরাহ্ন

যেসব কারণে ডা. এনামের ‘নৌকাডুবি’

  • আপডেট সময় : শনিবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৪

সংবাদ রিপোর্ট : ঢাকা-১৯ আসনে (সাভার-আশুলিয়া) আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী, একাদশ সংসদে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের শোচনীয় পরাজয়ের পর চলছে নানা গুঞ্জন, আলোচনা-সমালোচনা। পক্ষান্তরে প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্যকে পরাজিত করে চমক সৃষ্টি করেছেন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ, অদক্ষ নেতৃত্ব ও নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়নের কারণে ডা. এনামুর রহমানের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সর্বোচ্চ ৭৮ হাজার ৮০৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচনে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদ (ঈগল) পেয়েছেন ৭৩ হাজার ৪৫ ভোট এবং বিদায়ী সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান ৫৪ হাজার ৪৯৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন।বিজয়ী সাইফুলের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৫ হাজার ৭৫৯ এবং নৌকার প্রার্থী ডা. এনামের ভোটের ব্যবধান ২৪ হাজার ৩০৬ ভোট। ১০ বছর যারা ডা. এনামের কাছ থেকে সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন তাদের সবার ভোট কেন্দ্রেই এনামের ‘নৌকাডুবি’ হয়েছে। তারা এনামের নৌকার সঙ্গে থাকলেও শেষ মুহুর্তে ‘ঈগল’ আতঙ্কে ট্রাকে উঠে যান। অনেকে মোটা অঙ্কের টাকায় ম্যানেজ হন বলেও গুঞ্জন রয়েছে। জনশ্রুতি আছে, ডা. এনামের সঙ্গে থেকে অনেকে গোপনে ঈগল ও ট্রাকের সঙ্গে ছিলেন, টাকা নিয়ে ভোট দিয়েছেন। ভোটের পর অনেকের উচ্ছাস এবং ফলাফলও তাই বলছে। অবশ্য ডা. এনাম তৃতীয় হবেন ভোটের আগেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বিশ্লেষণে এমন চিত্র ফুটে উঠেছিল। সাভারের আগামি উপজেলা এবং পৌরসভা এমনকি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও এর রেশ থাকবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

জানা গেছে, ডা. এনামের বড় ব্যর্থতা তিনি ১০ বছরে নিজের ১০ জন কর্মীও তৈরি করতে পারেননি। চিনতে পারেননি আপন পর। নেতাদের বড় শক্তি তাদের কর্মী। যার কর্মী নেই তার শক্তি সামর্থ্য নিয়ে কথা বলার কি-ই বা থাকে। ৫ বছর সংসদ সদস্য এবং পরবর্তী ৫ বছর প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় এনাম মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরের উন্নয়নে অনুদানের যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তার প্রায়ই তিনি রক্ষা করেননি। সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের পরিচিতি সভায় আওয়ামী লীগের জন্য জমি কিনে ভবন নির্মাণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি বেমালুন তা ভুলে গেছেন। নিমন্ত্রণে গিয়ে তিনি ‘উপহার’ দেননি এমন সমালোচনাও অনেক। ঠিকাদারী কাজে সিন্ডিকেট করে অনিয়মে সায় দেওয়া এবং হাট-বাজার ইজারাদারীতে অনৈতিক কর্তৃত্ব করায় ভোটারদের বড় একটি অংশ ডা. এনামকে প্রত্যাখান করেছেন। তার হাসপাতালে চিকিৎসা সেবার মান, রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তি এবং বাড়তি বিল আদায় নিয়ে পাহাড়সম অভিযোগ রয়েছে। নবজাতক থেকে শুরু করে ভর্তি সব পর্যায়ের রোগীদের ‘খাবার বিল বাধ্যতামূলক’ করায় ভুক্তভোগী ও স্বজনরা জবাব দিয়েছেন ব্যালটে। হাসপাতালের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং স্টাফদের অনেকের ব্যবহারে সেবা নিতে যাওয়া লোকজন বেজায় নাখোশ ছিলেন। হাসপাতালের ‘এক বড়কর্তা’ ও এক পরিচালকের আচারণে ক্ষুদ্ধ অনেক স্টাফ প্রকাশ্যে ‘ঈগলের’ নির্বাচন করেছেন। ওই কর্মকর্তার দেশ-বিদেশে বিপুল সম্পদের নিরপেক্ষ তদন্ত চান হাসপাতালের খোঁদ স্টাফরাও। হাসপাতালের আশপাশের বাসিন্দারাও নানান কারণে ডা. এনামের উপর বেজায় নাখোশ। একাধিক জেনারেটরের বিকট শব্দ আশপাশের বাসিন্দাদের হাপিয়ে তুলেছে। এছাড়া ডা. এনামের ব্যক্তিগত ও দাম্পত্য জীবন নিয়েও ভোটারদের মধ্যে মুখরোচক গল্প ছিল। এসব কিছুই তার ভোট কমিয়েছে নিয়মিত।
সদ্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামের পরাজয়ের অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম একটি তার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) শামীম আহাম্মদের নির্বিচার অপকর্ম। তিনি নেতাকর্মীদের কারো সঙ্গেই যোগাযোগ রাখেননি। ফোন ধরতেন না, খারাপ আচারণ করতেন-এমন অনেক অভিযোগ রয়েছে। মাত্র কয়েক বছর আগে মেসে থেকে টিউশনি করা শামীমের হঠাৎ অগাধ সম্পদ মালিক বনে যাওয়া নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। উপজেলার পিআইও অফিসে ‘নয়ছয়ে’ তিনি ছিলেন শীর্ষে। বাড়ির পাশে নিজ কেন্দ্রে বড় ব্যবধানে হেরে যাওয়া ডা. এনাম ছিলেন জনবিচ্ছিন্ন। উপজেলা পরিষদে পিছনের গেট বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ করায় তালবাগ ও আশপাশের মহল্লার বাসিন্দারা ‘ব্যালটে’ এর জবাব দিয়েছেন। ১০ বছর একটি ‘সিন্ডিকেটের ঈশারায়’ চলতেন তিনি। তাদের উপর আস্থা রাখায় পৌর এলাকার ভোটাররা বেঁছে নিয়েছেন তার ‘বিকল্প’। এনামের এক গাড়ি চালক তার গ্রামে বিপুল সম্পদ গড়ে ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ার প্রচারনায় থাকায় তার সম্পদের উৎস্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ডা. এনাম নিজেও ওই গাড়ি চালকের বাড়িতে বেড়িয়েছেন একাধিকবার। আবার এনামের ‘ম’ আদ্যাক্ষরের এক শ্যালক প্রতিমন্ত্রীর দাটপ দেখিয়ে বিনা চালানে কাঁচাবাজার ও আড়ৎ নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবসায়ীদের হয়রানী করে ভোটের বারোটা বাজিয়েছেন। মূলত সাভার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে ওই শ্যালকের জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার মধ্যদিয়েই সংসদ নির্বাচনে ডা. এনামের পরাজয়ের ঘন্টা বাজতে শুরু করে। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার শালবাহান রোডে একটি চা বাগানের মালিকানায় এনামের ঘনিষ্টজনদের সম্পৃক্ততা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যার কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরছে।
এদিকে ডা. এনামের নির্বাচন পরিচালনায় ছিল বড় দুর্বলতা। সমন্বয়ক যাকে করা হয়েছিল তিনি ও তার স্ত্রী দু’জনেই সমালোচিত। ভোটের মাত্র কয়েকদিন আগে থানা রোডে এক নেতার একটি ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রির খবরও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ওই ফ্ল্যাটটি এনামের প্রথম ভোটের কয়েকদিন আগে কেনা ছিল সেই ফ্ল্যাট। নিয়মিত ‘মিষ্টি’ ফাঁও খাওয়ায় মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা তার উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে নৌকা এড়িয়ে ভোট দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতীকে।
অপরদিকে গণমাধ্যমকর্মী, সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়, সাংস্কৃতি অঙ্গনের কাছ থেকেও ডা. এনাম কাঙ্খিত সাড়া পাননি। শিল্পকলা একাডেমী নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভঙ্গ করায় সংস্কৃৃতিকর্মীরা তাকে এড়িয়ে গেছেন। পৌরসভায় ও আশুলিয়ার ইউনিয়নগুলোতে তিনি যাদের উপর নির্ভর করেছিলেন তারা ভোটারদের কাছে টানতে পারেননি। প্রাপ্ত ভোটে ডুবেছে ডা. এনামের নৌকা। পৌরসভার ওয়ার্ড কমিটিগুলোর নেতাকর্মীরা ১০ বছর ছিলেন এনাম বিচ্ছিন্ন। সেজন্য ভোটের মাঠে তারা ছিলেন না আন্তরিক। মূলত এনাম যাদের উপর নির্ভর করেছিলেন তারাই তাকে ‘ঘোরের মধ্যে রেখে’ ডুবিয়েছেন। সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, দুর্দিনের নেত্রী হাসিনা দৌলাকে এড়িয়ে চলেছেন এনাম। দু:সময়ের নেতাকর্মীরা এটা ভালভাবে নেয়নি। তারা ব্যালটের মাধ্যমে এর জবাব দিয়েছেন। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়ন প্রতিবেদনে তার হারের পেছনে এমন অনেক কারণ উঠে এসেছে বলে জানা গেছে। প্রতিবেদনে এই হারের জন্য দায়ী ব্যক্তিদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে।
অন্যদিকে সংসদ নির্বাচনে পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান এবং ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুমন ভূঁইয়া ট্রাক মার্কার প্রার্থী সাইফুল ইসলামকে সমর্থন দেওয়ায় বেকায়দায় পড়েন ডা. এনাম। ১০ বছরের ব্যবধানে হঠাৎ করেই স্বতন্ত্রপ্রার্থী হওয়ার সুযোগে এক দশক পর সাভারে ফেরেন সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদ। ‘আইয়ো’ ‘আমার জন্য মায়া লাগে না’ আবেগী এমন সংলাপ আওড়িয়ে রাতারাতি তার পক্ষে সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দার, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়রম্যান ফিরোজ কবীর, ভাইস চেয়ারম্য্যান শাহাদাৎ খাঁন, সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল রানা, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন মাদবর, পৌরসভার দুই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সেলিম মিয়া ও আব্দুস সাত্তার, সাবেক সংসদ সদস্য আশরাফ উদ্দিন খান ইমুর পরিবারসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী মুরাদ জংয়ের পক্ষে নেমে গেলে ডা. এনামের শিবির আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। পদধারী বেশ কিছু নেতা এবং জনপ্রতিনিধিকে ডা. এনামের সঙ্গে দেখা গেলেও প্রকৃতপক্ষে তাদের আন্তরিকতা এবং সততা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে খোদ দলের মধ্যেই।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডা. এনামুর রহমানের শোচনীয় পরাজয়ের কারণ তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সঠিক মূল্যায়ন করেননি। বিপদে আপদে তাদের পাশে না থেকে নিজের আখের গোছানো নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন। যে কারণে গত দশ বছর সংসদ সদস্য থাকার পরও তিনি এলাকায় নিজস্ব কোনো কর্মী তৈরি করতে পারেননি। দলের ত্যাগী ও যোগ্য নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করে অর্থ এবং সম্পর্কের হিসেবে বিভিন্ন জনকে পদ-পদবি দিয়েছেন। রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা রক্ষা করেননি।
পৌর এলাকার একাধিক ভোটার জানান, নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ডা. এনামের সঙ্গে অনেক ভালো সম্পর্ক ছিল। যে কারণে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম করোনাকালে ডা. এনামুর রহমানকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ভোটার অধ্যুষিত স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নকে পৌরসভা করার জন্য ডা. এনামের লোক দেখানো চেষ্টা ছিল। অন্যদিকে করোনাকালে শ্রমিক ও সাধারণ মানুষদের ত্রাণ সহায়তা প্রদান, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও মারা যাওয়া শ্রমিকদের কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করাসহ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড করায় সাইফুল ইসলাম জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছিলেন। আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলীয় নেতাকর্মীদের বিপদে আপদে পাশে থেকেছেন এবং তৃণমূলের নেতাকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলেন। নির্বাচনী কৌশলে তিনি স্বনির্ভর ধামসোনা, শিমুলিয়া, পাথালিয়া ও ইয়ারপুর ইউনিয়নের ভোটার টার্গেট করে এসব এলাকার কেন্দ্রে বড় জয় পাওয়ার পরিকল্পনা করেন। আশুলিয়া, বিরুলিয়া, সাভার সদর, বনগাঁও ইউনিয়নে কোন মতে টিকে থাকা এবং পৌর এলাকার সবকটি কেন্দ্রে জাষ্ট দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করে যে পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তাতে তার জয় নিশ্চিত হয়েছে। যদিও পৌরসভা এবং ইয়ারপুরে প্রাপ্ত ভোটে তিনি অসন্তুষ্ট।
এদিকে বিজয়ী হওয়ার পরই সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ঢাকা-১৯ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সাভার ও আশুলিয়ায় কোনো চাঁদাবাজ রাখব না। যারা ফুটপাত ও বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা আদায় করেন তাদের ভালো হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করছি। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসীরা যে দলেরই হোক সাভার ছাড়তে হবে। তিনি আরও বলেন, ভেদাভেদ ভুলে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একটি আধুনিক ও স্মার্ট সাভার গড়তে চাই। ভোটের আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে। এ জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। আমি নিজে দলীয় একটি পদে রয়েছি। আমি সাভার ও আশুলিয়ার প্রতিটি নেতাকর্মীকে এক সারিতে আনব। দ্বিমত ভুলে সবাই কাজ করব। তার এমন মন্তব্য সব মহলে বেশ সাড়া জাগিয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :