সংবাদ ডেস্ক: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গাঁজা গুরু নামে পরিচিত মনসুর খানকে (৮৭) আটক করা হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবি চত্বর এলাকা থেকে গাঁজাসহ তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা। আটককৃত মনসুর খানের বাড়ি নেত্রকোণার দূর্গাপুর উপজেলায়। এর আগে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি একই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি নিকেতন এলাকা থেকে তাকে আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এক সপ্তাহ জেল খেটে ছাড়া পান বলে জানান মনসুর খান। আটককৃত মনসুর খান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে গাঁজা গুরু নামে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটককৃত মনসুর খান বলেন, আমি কলমা থেকে গাঁজা আনছি। তবে বিক্রির উদ্দেশ্যে না, আমি নিজে সেবনের জন্য আনছি। আমি অসুস্থ থাকি, গাঁজা না খাইলে সুস্থ হই না। নিজের অসুস্থতার জন্য আমি গাঁজা খাই। ডাক্তার আমাকে গাঁজা খাইতে বলছে। এদিকে নিরাপত্তা শাখায় সকলের উপস্থিতিতে হঠাৎ করে এক মুঠো গাঁজা নিয়ে কাঁচা খেয়ে ফেলেন মনসুর খান। পরে ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের চিকিৎসক বীরেন্দ্র কুমারের বিশ্বাস তাৎক্ষণিক তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ব্যাপারে নিরাপত্তা শাখার প্রধান সুদীপ্ত শাহীন বলেন, আমরা প্রথমে ছবি চত্বর এলাকায় তাকে শনাক্ত করি। এরপর জিজ্ঞেস করলে প্রথমে অল্প পরিমাণে গাঁজা সঙ্গে থাকার কথা তিনি স্বীকার করেন। এ সময় তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করলে হঠাৎ করে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে তাকে আটক করে তার কাছ থেকে ৩০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তার বয়স বিবেচনায় পুলিশ নেবে না বলছে। তবে তাকে এই এলাকা ছাড়া করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়েছে পুলিশ। ফলে আমরা মুচলেকা নিয়ে তাকে ছাড়ছি এবং সকলের উপস্থিতিতে গাঁজা পুড়িয়ে ফেলেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেন, একজন খুব বৃদ্ধ মাদক বিক্রেতাকে ধরার কথা শুনেছি। আমরা ইতোমধ্যে পুলিশের সঙ্গেও কথা বলেছি। কিন্তু বয়স বিবেচনায় তাকে পুলিশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
Leave a Reply