সংবাদ রিপোর্ট: শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শীতকে উপেক্ষা করে ভোর থেকেই স্মৃতিসৌধে আসতে থাকে শিশু-ছেলে-বুড়োসহ সব বয়সী মানুষ। বিজয় দিবসের আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে স্মৃতিসৌধকে ঘিরে গোটা সাভার পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। শীতের কুয়াশা ভেদ করে উঁকি দিচ্ছে রক্তিম সূর্য। তবে আজকের প্রভাতটা বাঙালি জাতির জন্য অন্য রকম। কারণ ৫১ বছর আগে কোটি বাঙালির স্বপ্নের বিজয়গাঁথা হয়েছিল এই দিনে। তাইতো বছর ঘুরে বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ এলেই মানুষের ঢল নামে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। দেশের জন্য শহীদ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন লাখো মানুষ। শুক্রবার প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানানো শেষে তাদের চলে যাওয়ার পর স্মৃতিসৌধ এলাকা সর্বস্তরের মানুষের জন্য খুলে দেয়া হয়। এরপর ফুল হাতে জনতার ঢল নামে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে। শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শীতকে উপেক্ষা করে ভোর থেকেই স্মৃতিসৌধে আসতে থাকে শিশু-ছেলে-বুড়োসহ সব বয়সী মানুষ। বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ। তাদের ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ বেদী। বিজয় দিবসের আনন্দ আর উচ্ছ্বাসে স্মৃতিসৌধকে ঘিরে গোটা সাভার পরিণত হয় উৎসবের নগরীতে। বিজয়ের ৫১ বছরে যুদ্ধাহত অনেক মুক্তিযোদ্ধাও এসেছেন শ্রদ্ধা জানাতে। তাদের অনেকের হাতে শোভা পায় লাল-সবুজের বিজয় নিশান। ফুল দিতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী নূর মোহাম্মদ বলেন, দেশের সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ভোর রাতেই ঢাকা থেকে রওনা হয়েছি। অনেক মানুষ এসেছে স্মৃতিসৌধে। সবার উদ্দেশ্য বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। শ্রদ্ধা জানাতে পেরে খুব ভালো লাগছে। স্বামীর সঙ্গে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন তামান্না আফরিন নামে এক গৃহবধূ। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসব এটা অনেক আগে থেকেই প্ল্যান করে রেখেছিলাম। অনেক রাতে উঠতে হয়েছে ঘুম থেকে। অন্য দিনের তুলনায় আজ শীতও পড়েছে বেশি। কষ্ট হলেও স্মৃতিসৌধে শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে এখন খুব ভালো লাগছে ‘
Leave a Reply