সংবাদ ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরে প্রবাসীর স্ত্রী কুসুম আক্তারকে (২৭) নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুর খোকন ও শাশুড়ি ছলমা বেগমের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক রয়েছে। খবর পেয়ে ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা নিহতের লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। নিহত কুসুম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (১২নং ওয়ার্ড) আবিরনগর গ্রামের গনু মিয়ার সর্দার বাড়ীর (সৌদিআরব) প্রবাসী ইয়াছিনের স্ত্রী ও পাশ্ববর্তী নূড়িগাছ তলা এলাকার দিনমজুর আনোয়ারুল হকের মেয়ে এবং দুই কন্যা সন্তানের জননী। নিহতদের স্বজনরা জানান, ১১ বছর পূর্বে ইয়াছিনের সঙ্গে কুসুমের পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে কারণে-অকারণে নির্যাতনের শিকার হয়তো কুসুম। এনিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। তবুও থেমে নেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের মাত্রা। সর্বশেষ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বিকেল ৩টার দিকে শাশুড়ি ছলমার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান কুসুম। একপর্যায়ে বৌ-শাশুড়ি মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। তখন (গৃহবধূ) কুসুমের ছোট বোন স্বপনা দুইজনকে থামাতে আসলে, কুসুমের শাশুড়ি স্বপনাকে লাথি ও মারধর করে। একসময় স্বপনা কান্নাকাটি করে বোনের বাড়ি থেকে চলে যায় নিজ বাড়িতে। যাওয়ার সময় স্বপনা তার বোনের ৭ বছর মেয়ে সাদিয়া আক্তার জান্নাতকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। পরে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে খবর পান কুসুম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মাহত্যা করছে। লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন মোবাইলে ঢাকা মেইলকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
Leave a Reply