সংবাদ রিপোর্ট : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সময়টি মাহেন্দ্রক্ষণ। চারদিকে ছিল আনন্দের বাঁধভাঙা জোয়ার। সব বয়সী মানুষ একসঙ্গে উৎসবে মেতেছিল। এই আনন্দ আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পেরে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলাম। শনিবার দিনটি ছিল আনন্দের, উচ্ছ্বাসের, উৎসবের। সারা দেশের মানুষ একসাথে আনন্দ আয়োজনে দিনটি উদযাপন করেছে। দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণের এইদিনে আয়োজন ছিল বর্নিল। পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ২৫ জুন শনিবার বিকেলে সাভার সংবাদকে নিজের অনুভুতি ও প্রতিক্রিয়া জানান তিনি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন নান্দনিকতা আগে কখনো দেখেননি উল্লেখ করে ঢাকা-১৯ আসনের এই সংসদ সদস্য বলেন, পুরো আয়োজন ছিল ব্যতিক্রম। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আগামি প্রজন্মের জন্যও বার্তা দিেেয়ছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিলো অত্যন্ত সুন্দর, দিক নির্দেশনা মূলক। জনগনের ভালবাসা নিয়ে সব বাঁধা ডিঙিয়ে তিনি যে অসাধ্যকে সাধন করেছেন সেই প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেছেন স্পষ্টভাবে। এনামুর রহমান বলেন, দক্ষিণ ও পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে সারা দেশের মেলবন্ধন সুদৃঢ় করেছে এই সেতু। এর ফলে ওই অঞ্চলের মানুষের মূল্যবান সময় অনেক বেঁচে যাবে, বাঁচবে কর্মঘন্টা। সেতুটি অসাধারণ স্থাপত্য ও নির্মাণ শৈলী। নির্মাণ কাজের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অনুভূতি উচ্ছ্বসিত। উদ্বোধনী দিনে পদ্মা সেতুর দুইপাড়ের কয়েক লাখ মানুষ অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের প্রত্যেকের চোখ মুখে ছিল আনন্দের ঝিলিক। তাদের উচ্ছ্বাস, উৎফুল্লতা নিজ চোখে না দেখলে বিশ^াস করা যাবে না। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূত ও বিদেশী মেহমানরাও বাংলাদেশের এই বিরাট অর্জনে উল্লাসিত ছিলেন। বিশ^ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টরসহ বিদেশী অতিথিরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা বলেছেন বাংলাদেশ চাইলে নিজেই অনেক বড় কিছু করতে পারে তার প্রমান দিয়েছে। এমন কোনো শ্রেণি পেশার মানুষ নেই যে এই সেতুতে উৎফুল্ল হয়নি। সবাই আপন মনে গ্রহন করেছে আয়োজনকে। এমনকি যারা এতোদিন না বুঝে সেতু নির্মাণের বিরোধীতা করে নানা কাল্পনিক অভিযোগ তুলে আসছিলেন তাদের ভুলও ভেঙে গেছে। তাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় আশা প্রকাশ করেছেন।
Leave a Reply