সংবাদ রিপোর্ট: সাভারের রাস্তায় ৫২০টি লেগুনা এবং ৩৫টি মিনিবাস চলছে সম্পূর্ন অবৈধভাবে। পুলিশ ও স্থানীয় মাস্তানদের ম্যানেজ করে চলা এসব যানবাহন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত অংশে যানজটের মূল কারণ। হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগায় এসব বাহন চালান ড্রাইভিং লাইসেন্সবিহীন চালক। যাদের অধিকাংশই অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তারা ট্রাফিক আইনের তোয়াক্কা না করে সড়কে ইচ্ছেমতো গাড়ি চালায়। অন্য গাড়ি আটকে যাত্রী তুলতে তৎপর হওয়ায় সবকটি বাসস্ট্যান্ডে দিনরাত যানজটের কারণ এসব বাহন। জানা গেছে, আশুলিয়া মোট দুটি নামে লেগুনা চলে। এর একটি হলো সবুজ বাংলা এক্সপ্রেস, এর ৬৫টি গাড়ি আছে। তবে প্রতিদিন চলে ৩০-৩৫টি। আরেকটি হচ্ছে সেবালিংক এক্সপ্রেস। এর গাড়ি ৮৫টি। যারমধ্যে প্রতিদিন চলে ৪৫-৫০টি। কলমা এক্সপ্রেসের লেগুনা আছে ১৮০টি। প্রতিদিন গড়ে ৯০-১০০টি গাড়ি চলে। বিরুলিয়া এক্সপ্রেসের গাড়ি আছে ১৯০টি, প্রতিদিন ১০০-১১০ টি গাড়ি চলে। বন্ধন এক্সপ্রেসের মিনিবাস আছে ৩৫টি। প্রতিদিন চলে ২০-২২টি। এসব গাড়ির কোনো বৈধ কাগজপত্র, রুট পারমিট, ফিটনেস সার্টিফিকেট বা নম্বর প্লেট নেই। পুলিশ ও মাস্তানদের সঙ্গে সমঝোতা করে বিরুলিয়া-হেমায়েতপুর পর্যন্ত এসব লেগুনা ও মিনিবাস চালাতে চালক ও হেলপার প্রতিদিন মালিকের জমা দেন ৮০০ টাকা। আর রুট খরচ দেন ৩০০ টাকা। ব্যস এতেই দফারফা। যদি বিশেষ কোনো কারণে বা অভিযানে পুলিশ এসব গাড়িতে রেকার লাগায় তবে চালক-হেলপার ও মাস্তানরা মিলে রেকার বিল পরিশোধ করে। যানজটে আটকে পড়া ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক আটলেনে উন্নীত করতে কাজ চলছে। বাসস্ট্যান্ডগুলোতে লোকাল লেন নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু ‘ম্যানেজ করে চলা’ লেগেুনা ও মিনিবাসগুলো কোনোভাবেই ওই লেনে ঢুকছে না। তারা রাস্তার উপর এলামেলোভাবে রেখে যাত্রী তোলায় দূরপাল্লার পরিবহনও আটকে পড়ছে রাস্তার উপর। উদাহরণ হিসাবে ভুক্তভোগীরা বলেন, উলাইলের আল-মুসলিম গার্মেন্টের কর্মীদের কারণে মহাসড়কের এই পয়েন্টে দিনরাতে বেশ কয়েকবার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পশ্চিমপাশে লোকাল লেন করা হলেও সেখানে ঢুকছে না লেগুনা বা মিনিবাস। বরং তারা রাস্তার উপর প্রতিযোগিতা করে রেখে পোশাক কর্মীদের তুলতে দু’পাশে দীর্ঘ যানজট সৃস্টি করেই আসছে। অথচ পাশের লেনে ঢুকলেই যানজট এড়ানো যায়। ট্রাফিক পুলিশের নাগের ডগায় লেগুনার দৌরাত্ন্য চললেও কোনদিনও অভিযান চালানো হয়নি! অবশ্য ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) আব্দুস সালাম বলেছেন, জনবল সংকটের কারণে তারা কিছু করতে পারেন না। ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা ধরতে আগ্রহী হলেও হাইওয়ে পুলিশও অবৈধ লেগুনা ও মিনিবাসের ব্যাপারে নিরব। অভিযোগ আছে দুই হাজার টাকা নিয়ে ছাড়া হয় অটোরিক্সা।
Leave a Reply