1. kamruzzaman78@yahoo.com : kamruzzaman Khan : kamruzzaman Khan
  2. ssexpressit@gmail.com : savarsangbad :
শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন

সাভারের পলাশ হাসপাতাল ভূল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ

  • আপডেট সময় : সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

সংবাদ রিপোর্ট: সাভারের একটি হাসপাতালে ভূল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের দাবি ডাক্তার এবং হাসপাতাল কতৃপক্ষের অবহেলা ও ভূল সিদ্ধান্তের কারনে রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। ৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার সকালে এসব অভিযোগ তোলেন নিহতের স্বামী হাজী আব্দুল মান্নান ও তার মেয়ের জামাই হুমায়ুন। এর আগে রবিবার গভীর রাতে সাভার থানা স্ট্যান্ড এলাকার পলাশ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই রোগীর নাম নাহার (৪৮), তিনি সাভারের ইমান্দিপুর চৌরাস্তার হাজী আব্দুল মান্নানের স্ত্রী। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি জরায়ু টিউমার রোগে ভুগছিলেন। নিহতের স্বামী মান্নান বলেন, গত শুক্রবার আমার স্ত্রী নাহারকে সাভারের পলাশ হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে ডাক্তার বলেন অপারেশন করতে হবে। পরে বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষার করে দেখা যায় রোগীর রক্ত চাপের সমস্যা। এজন্য অপারেশন একদিন পরে করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। অপারেশন তারা করেছে তবে রোগীকে মেরে ফেলেছে। তাদের হাসপাতালে কোন ডাক্তারই থাকে না। ডিউটি ডাক্তার নামে দুই জন ডাক্তার ডিউটি করেন। আর যদি সিজার, ও অন্যান্য অপারেশন করতে হয় তারা ডাক্তার ভাড়া করে আনেন। আমার স্ত্রীর অপারেশন করেছেন ডা. পলাশ। তাকেও খবর দিয়ে আনতে হয়েছে। যদিও তার মালিকানাধীন ও তার নামেই এই হাসপাতাল। রোগীর মেয়ের জামাই হুমায়ুন খান বলেন, হাসপাতাল কতৃপক্ষ ও ডাক্তারের গাফিলতির জন্য আমার শ্বাশুড়ি মারা গেছেন। অপারেশনের পরে রোগীকে বেডে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরে তারা আবারও অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। এর কারন কি? এর অর্থ কি দাঁড়ায়। তাদের অপারেশনে ভূল কিছু হয়েছিল। পরে তারা এনাম মেডিকেলের আইসিইউতে নিয়ে যায়। তারা প্রথমেই আবার ওটিতে না নিয়ে আইসিইউতে নিলে হয় তিনি বেঁচে থাকতেন। তিনি পলাশ হাসপাতালেই মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পরে আইসিইউ এর পরামর্শ দেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ। তারা আমাদের সাথে নানা ধরনের নাটক করে কালক্ষেপন করেছেন। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এব্যাপারে হাসপাতালের ম্যানেজার এমএ কাশেম বলেন, ভূল চিকিৎসার ব্যাপারে আমি জানি না। তবে হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার সবসময় থাকেন। এব্যাপারে ডাক্তাররাই ভাল বলতে পারবেন। তবে এই রোগীর চিকিৎসক সৈয়দ মোকাররম হোসেন পলাশের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায় নি। এব্যাপারে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, এব্যাপারে অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে শুনেছি। আমরা তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো। যদি ভূল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয় তাহলে যাবতীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :