1. kamruzzaman78@yahoo.com : kamruzzaman Khan : kamruzzaman Khan
  2. ssexpressit@gmail.com : savarsangbad :
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫২ পূর্বাহ্ন

চ‌সিক প্রকল্প পরিচালককে মারধরের ঘটনার প্রতিবা‌দে সাভারে মানববন্ধন

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৩

সংবাদ রিপোর্ট: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না পেয়ে চ‌সিক প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানীকে মারধরের প্রতিবাদে সাভারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাভার উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য’র নেতৃত্বে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দসহ উপ‌জেলা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাকছুদ নবী, সি‌নিয়র মৎস‌্য কর্মকর্তা কামরুল হাসান সরকার, উপ‌জেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ সাজ্জাদ হো‌সেন, জনস্বাস্থ‌্য কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হো‌সেনসহ উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। এব‌্যাপা‌রে সাভার উপজেলা প্রকৌশলী তরুণ কুমার বৈদ্য তার বক্ত‌ব্যে ব‌লেন, একজন সৎ প্রকল্প প‌রিচাল‌কের উপর হামলার প্রতিবাদসহ আই‌নের প্রতি শ্রদ্ধা রে‌খে দ্রুত বিষয়‌টি‌কে গুরুত্ব বি‌বেচনা ক‌রে সত‌্য ঘটনা উদঘাটন ক‌রে দোষী‌দের বিরু‌দ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শা‌স্তি দা‌বি কর‌ছি। এছাড়াও সি‌নিয়র মৎস‌্য কর্মকর্তা তার অ‌ভিব‌্যক্তি ব‌্যক্ত ক‌রে ব‌লেন, এ‌হেন ঘটনার বিরু‌দ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শা‌স্তি জরুরী। উ‌ল্লেখ‌্য যে, গত ২৯ জানুয়ারী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আড়াই হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না পেয়ে প্রকল্প পরিচালক গোলাম ইয়াজদানীকে রবিবার বিকেলে নগরের টাইগারপাসে সিটি করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে তাঁর কক্ষে ঢুকে মারধর করেন একদল ঠিকাদার। এর আগে রবিবার রাতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃতরা হলো শাহ আমানত ট্রেডার্সের সঞ্জয় ভৌমিক ওরফে কঙ্কন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মোঃ ফেরদৌস, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ ও জনৈক মাহমুদুল্লাহ। তাঁদের মধ্যে প্রথম তিনজন মারধরের মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। এঘটনায় সিটি করপোরেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোঃ কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় আসামি হিসেবে ১০ জন ঠিকাদারের নাম উল্লেখসহ ৫ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলায় উল্লেখিত আসামীরা হলো – এসজে ট্রেডার্সের সাহাবুদ্দিন, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সঞ্জয় ভৌমিক ওরফে কঙ্কন, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের মোঃ ফেরদৌস, শাহ আমানত ট্রেডার্সের সুভাষ, মেসার্স খান করপোরেশনের হাবিব উল্ল্যাহ খান, মেসার্স নাজিম অ্যান্ড ব্রাদার্সের মোঃ নাজিম, মেসার্স রাকিব এন্টারপ্রাইজের মোঃ ফিরোজ, মোঃ ফরহাদ, ইফতেখার অ্যান্ড ব্রাদার্সের মোঃ ইউসুফ ও জ্যোতি এন্টারপ্রাইজের আশীষ। অন্যদিকে প্রকল্প পরিচালককে মারধরের ঘটনায় সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প হচ্ছে ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আওতায় বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’। আড়াই হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায় গত বছরের ৪ জানুয়ারি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী গোলাম ইয়াজদানীকে গত বছরের ১৪ আগস্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। প্রকল্পের প্রথম ধাপে ৩৭টি ভাগে (লটে) ২২০ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল গত নভেম্বরে। প্রকল্পের আওতায় ওভারপাস, রাস্তা, পদচারী-সেতু, কালভার্ট নির্মাণ, গোলচত্বরসহ বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নকাজ হবে। সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, প্রকল্পের কাজ নিয়ে পরিচালকের ওপর আগে থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন ঠিকাদারেরা। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রকল্পের দরপত্র নিয়ম মেনেই করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঠিকাদারেরা চেয়েছিলেন ভাগাভাগি করে কাজ নিতে। এ জন্য তদবির করা হলে প্রকল্প পরিচালক তাতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে প্রথম ধাপের ২২০ কোটি টাকার কাজে নিয়মের কড়াকড়িতে বাদ পড়তে যাচ্ছেন বেশ কয়েকজন ঠিকাদার। এটা জেনেই তাঁর ওপর জোট বেঁধে হামলা করেন ঠিকাদারেরা। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থক।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ :