ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ভেন্যু নিয়ে বর্তমান ও সাবেক এমপির মধ্যে বাগি¦তন্ডার জের ধরে দুইগ্রপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় গ্রপের মধ্যে চলছে চরম উত্তেজনা। ২৬ আগস্ট শুক্রবার ধামরাই সিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। দলীয় নেতাকর্মীদের কাছ থেকে জানা গেছে, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এ সম্মেলনের প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম রতনের সভাপতিত্বে সভা চলছিল ধামরাই সিটি সেন্টারে। সেখানে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঢাকা-২০ আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা বেনজীর আহমদ, ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা এম এ মালেক, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোহাদ্দেস হোসেন, পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকুসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে সম্মেলনের ভেন্যু নিয়ে বেনজীর আহমদ ও মালেকের মধ্যে তুমুল বাগি¦তন্ডা হয়। বেনজীর আহমদ চাচ্ছেন ধামরাই হার্ডিঞ্জ স্কুল ও কলেজ মাঠে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কিন্তু এমএ মালেক চাচ্ছেন পৌরশহরের যাত্রাবাড়ি মাঠে। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে প্রথমে ধাক্কাধাক্কি পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোহাদ্দেস হোসেন বলেন, এমপি বেনজীর আহমদ নেতাকর্মীদের মতামতের প্রধান্য না দিয়ে হার্ডিঞ্জ হাই স্কুল ও কলেজ মাঠে সম্মেলন করতে চান। এতে আমি তীব্র প্রতিবাদ করেছি। এমএ মালেক বলেন, ধামরাই হার্ডিঞ্জ হাই স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর আমাদের সম্মেলন ১৩ তারিখে। সম্মেলনের মঞ্চ তৈরী করতে প্রায় চার-থেকে পাঁচদিন সময় লেগে যাবে। এতে সাধারন ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ও ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে বিধায় সম্মেলনের ভেন্যু যাত্রাবাড়ির মাঠে করার প্রস্তাব দিয়েছি। কিন্তু এরপরও বেনজীর আহমদ হার্ডিঞ্জ হাই স্কুল ও কলেজ মাঠে সম্মেলন করার ঘোষনা দিয়েছে। এতে আমি প্রতিবাদ করেছি। এ বিষয়ে বেনজীর আহমদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি একটি মিটিং-এ আছি পরে কথা বলবো। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা সাখাওয়াত হোসেন সাকু বলেন, হার্ডিঞ্জ হাই স্কুলে সম্মেলন হলে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে দুই নেতার মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম রতন বলেন, প্রস্তুতি কমিটির সভায় কোন তর্কবির্তক হয়নি। তবে বাইরে উত্তেজনা ছিল। এ বিষয়ে ধামরাই সরকারি হার্ডিঞ্জ স্কুল ও কলেজের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী বলেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাঠ ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছে আবেদন করেছেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আবুল কাশেম রতন। তবে এখনো অনুমতি দেইনি। উল্লেখ প্রায় দুই দশক ধরে বেনজীর আহমদ ও এমএ মালেকের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এতে নেতাকর্মীরও দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্তমান এমপি বেনজীর আহমদ ও আরেক পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক এমপি এমএ মালেক।
Leave a Reply