আশুলিয়া প্রতিনিধি: আশুলিয়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার পর শিশু সন্তানকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ২০ জুন মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়া থানাধীন কাঠগড়া পশ্চিমপাড়া এলাকার ইঞ্জিনিয়ার মামুনের পাঁচতলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাটের বাথরুম থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহবধুর নাম শিমু আক্তার (২১) তার গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার মোগন্দপুর এলাকায়। তার বাবার নাম নয়া মিয়া ব্যাপারী। তার স্বামীর নাম ফারুক হোসেন (৩২) তিনিও একই গ্রামের তৈয়বর মিয়ার ছেলে। বর্তমানে এই দম্পতি আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় ভাড়া থেকে স্থানীয় ডেকো লিগেসি গ্রুপের আগামী এ্যাপারেলস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তাঁদের আড়াই বছরের এক ছেলেসন্তান রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, একই বাসায় নিহত নারী, তাঁর আরও দুই বোন ও খালা-খালুও বসবাস করেন। গতকাল সোমবার রাত ১২টার দিকে স্বামী ফারুককে নিয়ে ঘরে চলে যান শিমু। পরে আজ সকালে এক বোন তাঁকে অফিসে যাওয়ার জন্য ডাকতে এসে দেখেন ঘরের ছিটকিনি বাইরে থেকে আটকানো। পরে তিনি ছিটকিনি খুলে ঘরে ঢুকতেই দেখেন বিছানার চাদর ও লেপ রক্তে ভেজা এসময় ঘরে কাউকে না পেয়ে তিনি বাথরুমে গিয়ে কমোডের উপর শিমুর রক্তাক্ত নিথর দেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। সকাল থেকেই ফারুক আর তাঁদের সন্তানকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল হোসেন বলেন, আমরা খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জেরে বঁটি বা ধারালো কিছু দিয়ে তার স্বামী ওই নারীকে জবাই করে হত্যা করেছে। আমরা পলাতক স্বামীকে খুঁজে আটকের চেষ্টা করছি। বাকি তথ্য তদন্ত শেষে বলা যাবে।
Leave a Reply