সংবাদ রিপোর্ট: সাভারে মোবাইল সার্ভিসের আড়ালে ভাড়াটে খুনী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। গত ২৮শে জন সাভারে নিজ বাস ভবনে এক বৃদ্ধা নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বাসা ভাড়া নেওয়ার ছলে হাজেরা খাতুন (৭৩) কে হত্যা করে পালিয়ে যায় বোরখা পড়া নারী। ক্লুলেস সেই মামলার কোন কুল কিনারা না হওয়ার হতাশায় ছিলো নিহত নারীর পরিবার। গত ৬ মাস ধরে পিবিআই, ডিবি পুলিশ, র্যাব ও সাভার মডেল থানা পুলিশ সিসিটিভি একটি ফুটেছের এক নারীর বোরখা পড়া ছবির সূত্র ধরে আসামী সনাক্তের কাজ করতে থাকে। গত মঙ্গলবার ৬ ডিসেম্বর তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে একটি কলের সূত্র ধরেই সেই বোরখা পড়া নারীর সন্ধান পায় সাভার মডেল থানা পুলিশ। সাভার পৌর এলাকায় ডগরমোড়া হাফিজ উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বোরখা পড়া নারীকে গ্রেফতার করে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হাসান সিকদার। বুধবার সকালে সাভার মডেল থানায় হলরুমে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ হিল কাফি সংবাদ সম্মেলনে জানান সাভার পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের বিনোদবাইদ এলাকার গত ৬ মাস আগে খুন হওয়া হাজেরা বেগমের হত্যা ঘটনার মুল আসামী মমতাজ পারভীন (৪৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই হত্যার ঘটনা কি কারনে ঘটলো ও আরও কেউ জড়িত আছে কি না এখনও কিছু জানা যায়নি। কিন্ত তাদের কাছে কিছু তথ্য দিয়েছেন মমতাজ পারভীন। তাদের গ্রেফতারের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না। মমতাজ পারভীন কে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে নিহত নারীর খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে খুনী মমতাজ পারভীন হত্যার কথা শিকার আদালতে জবানবন্দি দিয়ে বলেন, তাকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে হাজেরা খাতুন কে হত্যার জন্য ভাড়া করে ছিলেন সাভার অন্ধমার্কেটে মোবাইল সার্ভিসের দোকানের মালিক শহিদুল।সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক হাসান সিকদার বলেন, মমতাজ পারভীনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শহিদুল(২৫) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। হাসান সিকদার আরও জানান, এই হত্যা মামলার ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করলেই আসল হত্যা রহস্য উদঘাটন হবে। পুলিশ আর ও জানান আসামী শহিদুলের দুই দিনের রিমান্ড শেষে রবিবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হলে আদালত জেলহাজতে প্রেরণ করে শহিদুল কে।
Leave a Reply