সংবাদ রিপোর্ট : ঈদুল আযহা উপলক্ষে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো সাভারে কোরবানির পশুর হাটের ইজারা চূড়ান্ত হয়েছে। সাভার পৌর এলাকায় এবারো একটি হাট বসছে। এছাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে আরো ১৮টি স্থানে পশুর হাটের জন্য উপজেলা প্রশাসন দরপত্র আহবান করলে ৪টি হাটের ইজারায় কেউ অংশ নেয়নি। স্থান বিবেচনায় ওই ৪টি এলাকায় কেউ আগ্রহী হয়নি বলে জানা গেছে। তবে ওইসব স্থানে হাট বসানোর উপায় খুঁজছে প্রশাসন। তবে অন্যসব হাটের ইজারা সম্পন্ন হওয়াার পর সংশ্লিষ্টরা আয়োজনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইজারাদারদের সঙ্গে বৈঠক করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। পোষ্টার সাটিয়ে মাইকিং করে প্রচারনা চলছে।
সাভার পৌরসভার কোরবানির পশুর হাটের ইজারায় অংশ নিয়ে এবার সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছেন সাভার সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রাজু। তিনি ১ কোটি ৬ লাখ টাকায় (ট্যাক্স-ভ্যাটসহ ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা) হাটের ইজারা পেয়েছেন। যা গতবাবের তুলনায় কম। ইজারাদার রাজুর বাবার নাম আনিসুর রহমান। তিনি সাভার বেঙ্গল ফাইন সিরামিকস কর্মচারী ইউনিয়নে শ্রমিক নেতা। আহবানকৃত দরপত্রে উল্লেখ করা তথ্য মতে- পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডের গেন্ডায় পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন খান ইমু’র বালুর মাঠে পশুর হাটের আয়োজন কথা। তবে ওই স্থানটি আবাসিক এলাকা হওয়ায় বাসিন্দারা এতে আপত্তি তুলেন। আয়োজকরা বিকল্প হিসেবে পূর্বের ন্যায় রেডিও কলোনী স্কুুল মাঠে হাট আয়োজন করেছে। দলের সিনিয়র অনেককে ডিঙ্গিয়ে ছাত্রদল নেতা আতিকুর রহমান রাজু ইজারাদার হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রশ্ন ঘুরছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকে বিভিন্নজনের নাম জড়িয়ে অনুমান নির্ভর, বিভ্রান্তিকর ও উদ্ভট সব প্রচারনা চলাচ্ছে। পশুর হাট নিয়ে নামধারী কয়েকজন ‘কথিত সাংবাদিকের ফেসবুক পোষ্ট রীতিমতো হাসির খোরাক’ হয়েছে। ১ জুন হাট শুরু হবে বলে আয়োজকরা মাইকিং করে ও ফেসবুকে প্রচারনা চালাচ্ছে।
এদিকে উপজেলার পরিষদ ডেন্ডাবর পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় হাবিব হাসপাতালের পূর্বপাশে ফিশারিসের মাঠের ব্যবস্থা করেছে। আলমাছ হোসেন ১৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় এই হাটের ইজারা পেয়েছেন। ঘোড়াপীর মাজার সংলগ্ন মাঠ রওশন আলী ১২ লাখ ১২ হাজার ১২ টাকায় ইজারা পেয়েছেন। বগাবাড়ী বাজার সংলগ্ন বসুন্ধরা হাউজিং মাঠ মোখলেসুর রহমান ইলিয়াস শাহী দুই লাখ ৫০ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন। ফারুক নগর ইসমাইল ব্যাপারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ দেলোয়ার হোসেন কিরণ ৬ লাখ ১১ হাজার ৫শ টাকায় ইজারা পেয়েছেন। শিমুলিয়ার গোহাইলবাড়ী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠ মজিবুর রহমান এক লাখ টাকায় ইজারা পেয়েছেন। বিকেএসপির প্রাচীর সংলগ্ন মাঠ আতাউর রহমান ৫০ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন। পাড়াগ্রাম জনকল্যাণ সমিতি মাঠ আব্দুর রাজ্জাক এক লাখ ১ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন। জিরানী-নবীনগর-চন্দ্রা সড়কের পশ্চিম পাশে পারটেক্স মাঠে হাটের জন্য কোনো দরপত্র জমা পড়েনি। দুর্গাপুর সোনার বাংলা মাঠ শাহীন সরদার ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন। পবনারটেক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মাঠ দেলোয়ার হোসেন মিন্টু ৪২ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন। বলিভদ্র বাজার পশুর হাট নাহিদ মন্ডল এক লাখ ১১ হাজার ৫শ টাকায় ইজারা পেয়েছেন। শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশ সংলগ্ন বালির মাঠ হাটের জন্য কোনো দরপত্র জমা পড়েনি। পলাশবাড়ী বাজার সংলগ্ন মাঠ ফারুক আহমেদ লিটন ১০ লাখ ১শ ১১ টাকায় ইজারা পেয়েছেন। পাথালিয়া ইউনিয়নের টাকসুর মৌজার গণস্বাস্থ্য মাঠ বাসেদ দেওয়ান এক লাখ ৬০ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন। ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন শিমুলতলা থেকে গাজীরদরগাহ রাস্তা সংলগ্ন ঝুটের গোডাউনের মাঠের জন্য কোনো দরপত্র জমা। জিরাবো বটতলা মাঠ আনোয়ার হোসেন ২০ হাজার টাকায় ইজারা পেয়েছেন। নরসিংহপুর বটতলা মাঠ শফিকুল ইসলাম ৫ লাখ টাকায় ইজারা পেয়েছেন। কুটুরিয়া আদর্শ সংঘ মাঠের জন্য কোনো দরপত্র জমা পড়েনি।
Leave a Reply