স্পোর্টস ডেস্ক : বার্সেলোনা থেকে এসে পিএসজিতে যোগ দেয়ার পর প্যারিসে নিজেকে মানিয়ে নিতেই একটি বছর লেগে গেলো লিওনেল মেসির। যে কারণে পিএসজির জার্সি গায়ে তার পারফরম্যান্সও যথেষ্ট প্রশ্নবোদক। কিন্তু সেই অভিযোগ সম্ভবত আর করার সুযোগ পাবে না সমালোচনাকারীরা। মৌসুম শুরুর আগেই গোল দিয়ে নিজের চেনা ছন্দে ফেরার বার্তা বাকি বিশ্বকে দিয়ে রাখলেন পিএসজির আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি। নতুন মৌসুম শুরুর আগে লিওনেল মেসি জানিয়েছিলেন, এই বছরে তিনি পিএসজি সমর্থকদের সব ইচ্ছা পূরণ করে দেবেন। সে ভাবেই তৈরি করেছেন নিজেকে। সে কথা রাখতেই যেন প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে গোল করলেন মেসি। আজ বিকেলে টোকিওর নিউ জাপান ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্থানীয় ক্লাব কাওয়াসাকি ফ্রন্টালের বিপক্ষে ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মেসিদের ক্লাব পিএসজি। ক্লাবের হয়ে প্রথম গোলটি করেন মেসিই। দ্বিতীয় গোলটি করেন আর্নাউড কালিমুয়েন্দু। জাপানি ক্লাবটির হয়ে একমাত্র গোলটি করে ব্যবধান কমান কাজুইয়া ইয়ামামুরা। গত মৌসুমে লিগ ওয়ানে মাত্র ৬টি গোল করেন মেসি। সব মিলিয়ে পিএসজির জার্সিতে করেছিলেন কেবল ১১টি গোল। পূর্ণাঙ্গ ক্যারিয়ার শুরুর পর এত কম গোল আর কোনো মৌসুমেই করেননি মেসি। তবে, এবার কাওয়াসাকি ফ্রন্টালের বিপক্ষে গোল করে সেই খরা কাটানোর ইঙ্গিতটা স্পষ্ট করেই দিয়ে রাখলেন তিনি। নেইমার এবং এমবাপের সঙ্গেই মাঠে নামেন মেসি। তবে, ৪৫ মিনিটের সময় নেইমার ও এমবাপেকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ। মেসিকে তুলে নেন ৬২ মিনিটের সময়। প্রাক মৌসুম প্রস্তুতির জন্য জাপান সফরে এসেছে মেসি-নেইমারদের ক্লাব পিএসজি। দলের তিন তারকা মেসি, কিলিয়ান এমবাপে এবং নেইমারকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি আগ্রহ জাপানের ফুটবলপ্রেমীদের। সেখানে সংবাদ সম্মেলনে মেসি বলেছেন, ‘নতুন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লেগে যায়। তাই পিএসজির জার্সিতে প্রথম মৌসুম তেমন উল্লেখযোগ্য ছিল না আমার কাছে; কিন্তু এখন প্যারিসের আবহাওয়ার সঙ্গে অনেকটাই পরিচিত হয়ে গেছি। সঙ্গে নেইমার এবং এমবাপের মতো দুই দুর্দান্ত তারকা রয়েছে। ফলে আমি নিজেকে পুরনো ছন্দে ফিরিয়ে আনতে পারব বলেই বিশ্বাস করি।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘আমি খুব ভাল করেই জানি, জাপানের মানুষ ফুটবল নিয়ে কতটা আবেগপ্রবণ। ফলে তারা যেমন দু’হাত উজাড় করে ভালবাসা দিতে পারেন, তেমনই খারাপ খেললে তার জবাব দিতেও সময় নষ্ট করেন না। আমরা সুন্দর একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে জাপান সফর শেষ করতে চাই।’ নিজের ফুটবল দর্শন নিয়ে প্রশ্ন উড়ে আসে মেসির দিকে। জবাবে আর্জেন্টাইন তারকা বলেছেন, ‘আমি এই খেলাটাকে ছোটবেলা থেকে ভালবেসে এসেছি। ফুটবল ছাড়া এখনো কিছু ভাবতেই পারি না। তাকে আঁকড়ে ধরেই সকলকে আনন্দ দিতে চাই।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ফুটবলকে প্রত্যেক মুহূর্তে উপভোগ করতে হবে। জীবনে সেরা হতে গেলে কঠোরতম অনুশীলনে ডুবিয়ে দিতে হবে নিজেকে। মাঠে নেনে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। তারই সঙ্গে দলের প্রতি দায়বদ্ধ এবং সতীর্থদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে। আমি সে শিক্ষা নিয়েই নিজেকে এই উচ্চতায় নিয়ে এসেছি। তবে আমার কাজ এখনও শেষ হয়নি।’
Leave a Reply