স্পোর্টস ডেস্ক : সেঞ্চুরির দিকে কী সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলেন! কিন্তু ট্রেন্ট বোল্টের একটি বলে পরাস্ত হয়ে গেলেন মুমিনুল হক। জোরালো আবেদন কিউই বোলার এবং ফিল্ডারদের। লম্বা আবেদনের সামনে আম্পায়ার বাধ্য হলেন আঙ্গুল তুলে দিতে। কিন্তু সন্তুষ্ট হতে পারলেন না মুমিনুল। তিনি রিভিউ চেয়ে বসলেন। তাতে দেখা গেলো, বলটি একটু উঁচুতে ছিল বটে। যদিও বল গিয়ে ভেতরের পায়ে আঘাত হানে। পরে ট্র্যাকারে দেখা গেলো বল আঘাত হানতো মিডল স্ট্যাম্পে। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল রইলো। ব্যক্তিগত ৮৮ রানে আউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আফসোস রয়ে গেলো মাত্র ১২ রানের জন্য। দলীয় ৩৬১ রানে আউট হলেন মুমিনুল হক। পড়লো পঞ্চম উইকেট। লিটন দাসকে নিয়ে ১৫৮ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। এ রিপোর্ট লেখার সময় বাংলাদেশের রান ১৪৩.৩ ওভারে ৩৬৯। লিড দাঁড়িয়েছে ৪১ রানের। ৮৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন দাস। নতুন ব্যাট করতে নামা ইয়াসির আলি রাব্বি এখনও রানের খাতা খোলেননি। এর আগে দিনের শুরুতে সেঞ্চুরি বঞ্চিত হয়ে আউট হয়েছিলেন ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। তিনি করেছিলেন ৭৮ রান। সেঞ্চুরির আশা নিয়েই ব্যাট করতে নেমেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। দ্বিতীয় দিন শেষে তিনি অপরাজিত ছিলেন ৭০ রানে। তার সঙ্গী অধিনায়ক মুমিনুল হক অপরাজিত ছিলেন ৮ রানে। বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ১৭৫ রান। তৃতীয় দিন সকালে ব্যাট করতে নামার পর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না জয়। সেই নেইল ওয়াগনারের বলে ক্যাচ দিয়ে বসলেন হেনরি নিকোলসের হাতে। ওয়াগনারের বল কাট করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বলটি ঠিকমত ব্যাটে আসলো না। কাঁধ বরাবর উঠে গিয়েছিল। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল চলে যায় গালিতে। সেখানে অসাধারণ ক্ষিপ্রতায় হেনরি নিকোলস বলটি তালুবন্দী করে নেন। আর মাত্র ৮ রান যোগ করে, ব্যক্তিগত ৭৮ রানে আউট হয়ে গেলেন বাংলাদেশের তরুণ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। ২২৮ বল খেলে ৭৮ রান করেন তিনি। জয় আউট হতেই মাঠে নামেন মুশফিকুর রহিম। তবে তিনি খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ৫৩ বল খেলে ১২ রান করার পর ট্রেন্ট বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন। জুটিটা হলো মাত্র ১৯ রানের।
Leave a Reply