মো: শাহিন: সাভারের আড়াপাড়া এলাকায় মোবাইল নিয়ে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে ১ যুবক নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ৩ জন। সংঘর্ষের শুরু গতকাল রাতে হলেও সর্বশেষ ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকের সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম আকাশ মৃধা (২৫) সে কুষ্টিয়ার কুমারখালি থানার ভালুকাপাড়া এলাকার আব্দুল হালিম মৃধার ছেলে ও পেশায় বাসের হেলপার। সে বাবা-মা নিয়ে আড়াপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।
স্থানীয়রা জানায়, গতরাতে আড়াপাড়া এলাকায় পপি নামের এক মহিলার বাসায় ডিজে পার্টির আয়োজন করে স্থানীয় কয়েক জন যুবক। ওখানে একটি মোবাইল হারানোর ঘটনা ঘটে। মোবাইলটি স্থানীয় জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলের। জাহাঙ্গীর হোসেন মোবাইল মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে দুই যুবককে মারধর করে। ওই সময় উপস্থিত যুবকদের মধ্যে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয় এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খরব দিলে উভয় পক্ষ পুলিশের উপস্থিতি টের পরে সটকে পরে। সকাল থেকে আবারও ছুড়ি,দা ও লাঠি উভয় পক্ষ দফায় দফায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় পক্ষের লোকজনই আহত হয়।
রেখা রানী নিজেকে নিহত আকাশের বন্ধুর মা দাবি করে বলেন, ডিজে পার্টি থেকে নয়ন ও প্রান্ত নামে দুই যুবক কে মোবাইল চুরির অজুহাতে প্রথমে মারধর করে জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রী। পরবর্তীতে ওখানে দুটি গ্রুপের সৃষ্টি হয় এবং ধস্তা ধস্তি হয়। এক পর্যায়ে সবাই চলে যায়। সকালে জাহাঙ্গীরের শ্যালক মামুনের নেতৃত্বে ২০/ ২৫ জন যুবক মঙ্গলবার সকালে আমার ছেলেকে মারধর করে। কারন আমার ছেলে অন্য গ্রুপের। আমার ছেলেকে মারধরের প্রতিবাদ করে আকাশ। ওরা আকাশকে কুপিয়ে মেরে ফেললো।
জাহাঙ্গীর স্থানীয় কাউন্সিলর রমজান হোসেনের লোক। এখন আমার দুইমেয়েকে রমজানের লোক ঘরে আটকে রেখেছে। এদিকে জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমার ছেলের মোবাইল ছিনতাই করার প্রতিবাদ করায় আমার শ্যালক মামুনকে ও ওর দুই বন্ধুকে কুপিয়ে আহত করেছে৷ ওদের অবস্থ্যা আশংকা জনক।
জানতে চাইলে সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, প্রথামিকভাবে জানতে পেরেছি মোবাইলকে কেন্দ্রকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। আকাশ নামে একজন নিহত হয়েছে। আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি।
নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রকৃয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply