সংবাদ রিপোর্ট: বংশীর তীরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এসময় উচ্ছেদ অভিযানে দোকান মালিকদের আহাজারি করতে দেখা যায়। প্রায় ৩ শতাধিক দোকান থেকে চল্লিশ হাজার করে টাকা দিয়েও ফের উচ্ছেদ মুখে পড়তে হয়েছে দোকানীদের। ২৯ জুলাই শনিবার সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত সাভারের নামা বাজারে চালের আড়ৎ এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসমাইল হোসেন।এসময় উচ্ছেদ অভিযানে প্রায় ২০টির মতো দোকান উচ্ছেদ করে উপজেলা প্রশাসন। তবে চালের আড়ৎদার মনির হোসেন জানান, এর আগে উপজেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে।এতে চালের সব দোকান ভাঙা পড়ে। পরে জসিম, লুৎফর, সালামত, শরীফ মিলে একটি সমিতি করে।এতে দোকান প্রতি চল্লিশ হাজার টাকা করে নিয়ে নতুন করে দোকান তুলার অনুমতির ব্যবস্থা করেন তারা।পরে লিজের জন্য আরো ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করে সমিতির লোকজন।কিন্তু আমি দিতে পারি নি। এসময় তিনি ক্ষোভ নিয়ে আরো জানান,‘শুধু লাল দাগ দিয়ে আমার দোকান গুলোই ভাঙা হচ্ছে।কিন্তু আমার পাশে আরো দোকান আছে।সেই গুলো ঠিকই আছে। টাকা নেওয়ার অভিযোগে ওঠা সমিতির সভাপতি জসিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে ২০২২ সালে অক্টোবর মাসে উপজেলা প্রশাসন নদী উচ্ছেদের অভিযান পরিচালনা করে। এতে সাভারের নামা বাজারে কয়েক শতাধীক দোকান উচ্ছেদ করে প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা। পরে সমিতির লোকজনের আশ্বাসে টাকা দিয়ে ফের দখলে আসে দোকান মালিকরা।এতে দোকান মালিকদের থেকে চল্লিশ হাজার করে টাকা নেন সমিতির সভাপতি জসিমসহ লুৎফর, সালামত এবং শরীফ। এই বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম জানান, তালিকা অনুসারে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এ উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply