সংবাদ রিপর্ট: সাভারে মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত স্বপন নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে মরদেহের সন্ধানে চালানো দ্বিতীয় দিনের অভিযানে মাথার খুলি এবং হাত ও পায়ের হাড়গোড় পেয়েছে ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। দ্বিতীয় দিনের মতো সাভার আনন্দপুর সিটি লেন এলাকার ওই বাড়িতে অভিযান শুরু হয় ১১ জুন মঙ্গলবার দুপুরে। পাওয়া যায় খুলি ও হাড়গোড়। এর আগে সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত চলে অভিযান। রাতে স্থগিত থাকলেও ছিল পুলিশি পাহারা। স্বপন সাভার পৌরসভার ইমান্দিপুরের শাহজাহানের ছেলে। সাভারের বিভিন্ন এলাকায় তার কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। তিনি সাভারে চিহ্নিত মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত। এক হত্যার ঘটনায় স্বপন গ্রেপ্তার হয়েছেন। স্বপনের সিটি লেন এলাকার ওই দোতলা বাড়িতে বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির প্রবেশপথ বাঁশ দিয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে। অভিযান চলছে। বাইরে উৎসুক জনতার ভিড়। তবে কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রায় আট ফুট খোঁড়ার পর মিলেছে হাড়গোড়। সেখানে রাস্তার পাশে কান্নায় গড়াগড়ি করতে দেখা যায় ১৪ মাস আগে নিখোঁজ স্থানীয় তরুণ তোফাজ্জল হোসেন ওরফে টোনোর বাবা সেলামতকে। ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন আগে একটি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে স্বপনের সহযোগী সাইফুল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বিরুলিয়ায় তার বাড়ির পাশ থেকে সীমা বেগম নামে এক নারীর মরদেহ মাটিচাপা অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে স্বপনকে গ্রেপ্তার করে তার সাভারের বাড়ির নিচতলার মেঝের নিচে পুঁতে রাখা মরদেহের তথ্য পায় পুলিশ। সেই মরদেহের সন্ধানে শুরু হয় অভিযান। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ পাওয়া যায় হাড়গোড়। এ হাড়গোড় টোনোর বলে নিশ্চিত করেছেন তার চাচা। টোনোর চাচা বরকত মিয়া বলেন, আমার ভাতিজা টোনোকে স্বপন হত্যা করে পুঁতে রেখেছিল। হাড়গোড়ের পাশে আমাদের টোনোর জামাকাপড় পেয়েছে পুলিশ। আমরা নিশ্চিত হয়েই বলছি এসব কাপড় আমার ভাতিজার। ঢাকা জেলা (উত্তর) গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, আমরা তথ্য অনুযায়ী আজও তল্লাশি করি। বিকেল ৫টার দিকে মাথার খুলি ও হাড়গোড় পাওয়া যায়। তবে এটি কার লাশ, তা তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ১৪ মাস আগে নিখোঁজ হন তোফাজ্জল হোসেন ওরফে টোনো। গত বছরের ২১ এপ্রিল তার বাবা সেলামত মিয়া সাভার মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। ১৯ এপ্রিল বাসার পাশ থেকেই নিখোঁজ হয় তোফাজ্জল।
Leave a Reply