সংবাদ রিপোর্ট: বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে বৃহত্তর সাভার রেস্তোরা মালিকদের একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাভারের রেস্টুরেন্ট পাড়া খ্যাত সাভার থানা রোডের তান্দুরি নাইটস রেস্টুরেন্টের হলরুমে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সাভার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ইমরান হাসান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইমরান হাসান বলেন, সেফটি ফুড প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নে আমরাও আছি তার সাথে। সুস্থ্য থাকার জন্য সেফটি ফুড ছাড়া কোন বিকল্প নেই। এজন্য তিনি সকল রেস্তোরাঁ মালিকদেরকে পাক-পবিত্রভাবে ব্যবসা করার পাশাপাশি ক্রেতাকে ভালো এবং মানসম্মত খাবার খাওয়ানোর পরামর্শ প্রদান করেন। প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসলে সে আপনাকে রিটার্ন করবেই উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রেস্তোরাঁ ব্যবসা এখন শিল্পে রূপ নিয়েছে। এটা নিয়ে গেজেটও প্রকাশ হয়েছে। সমাজের বড় একটি অংশ এই রেস্তোরাঁর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। ভবিষ্যতে এর পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে। আমরা যদি এখন থেকেই ক্রেতা ও ভোক্তার চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত এবং স্বাস্থ্য সম্মত খাবার পরিবেশন করতে না পারি তাবে ভবিষ্যতে আমাদের এ শিল্পটি বিদেশীদের হাতে চলে যাবে। ইতিমধ্যেই ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে এমনকি সাভারেও কিন্তু বিদেশী ফুড কোম্পানীর শাখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এখনই আমাদেরকে ভাবতে হবে। তিনি আরও বলেন, নিজেদের ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে আমাদের সবাইকে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। ভ্রাম্যমান আদালতসহ ছোটখাটো অনেক সমস্যা রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সকলে এক ছাতার নিচে অবস্থান নিয়ে নিজেদের অধিকার আদায় করতে হবে। অনেক ব্যবসায়ী আছেন ভ্যাট, ট্যাক্স এর কথা শুনলে ভয় পান এবং নিজেদেরকে আড়াল করে রাখতে চান। কিন্তু আমি সবসময় ভ্যাট-ট্যাক্সের পক্ষে। ভ্যাট আপনি ক্রেতার কাছ থেকে নিয়ে সরকারকে দিবেন, এতে সমস্যা হওয়ার কথা নাই। তাছাড়া সরকার যেভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, সরকারকে সহযোগীতার জন্য হলেও আমাদেরকে ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হবে। তা না হলে বাংলাদেশও শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্থানের মতো হয়ে যেতে পারে। বিষয়গুলি ভালোভাবে অনুধাবন করে সকলকে ভ্যাট দেয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করেন। সবশেষে তিনি বলেন, সারা দেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির কমিটি দেয়া হচ্ছে। আপনারা নিজেদের স্বার্থে এবং ব্যবসার সার্থে এ ছাতার নিচে একত্রিত হোন। আমরা নিজেদের চাঁদার টাকায় রেস্তোরাঁ মালিকদের পাশাপাশি কর্মচারী ও শেফদের প্রশিক্ষনের জন্য প্রয়োজনে ইনস্টিটিউট গড়ে তোলবো। সেখানে কিভাবে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করাসহ তাদের তাদের চাহিদা অনুযায়ী ভালো মানের খাবার পরিবেশন করা যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষন প্রদান করা হবে। আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও নবাবী ভোজের নির্বাহী পরিচালক মোঃ কামরুল হাসান চৌধুরী, বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোঃ মোবারক হোসেন, সাভার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক ও দিগন্ত থাই চাইনিজ এন্ড কাবাব, দিগন্ত কোয়লিটি ফুড এন্ড রেস্টুরেন্টের স্বত্তধিকারী এস এম আশিকুজ্জামান এবং বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সচিব আক্তারুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়াও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত রেস্তোরাঁ, ফাস্টফুড, বার্গার হাব, পিৎজা ক্লাব, বেকারীসহ খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের মালিকগন এ মতবিনিময় সভায় অংশগ্রন করে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
Leave a Reply