সংবাদ রিপোর্ট : সাভারে ধর্মীয় ভাবগম্বীর্য আর উৎসবের মধ্যদিয়ে স¤প্রীতির বার্তায় আড়ম্বর আয়োজনে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন পালিত হয়েছে। শুক্রবার ২৪ ডিসেম্বর রাতে শুরু হয় বড়দিনের আনুষ্ঠানিবতা। শনিবার ২৫ ডিসেম্বর সকালে প্রতিটি গির্জায় শুরু হয় প্রার্থনা। উপজেলার খ্রিস্টান ক্যাথলিক ও ব্যাপ্টিস্ট সম্প্রদায়ের ৩৬টি চার্চ ঘিরে উৎসব আমেজ ছিল ভরপুর। খ্রিস্টান অধুষ্যিত রাজাশন, কমলাপুর, ধরেন্ডা, দেওগাঁসহ বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন বাড়ীতে সাজানো হয়েছে খ্রীসমাস ট্রি। বড়দিন উপলক্ষে গীর্জা ও উপধর্মপল্লিগুলোকে সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঝলমলে আলোকসজ্জায়। গীর্জার ভেতরে করা হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ডিসপ্লে। মা মেরির প্রতিকৃতি ছাড়াও গোয়ালঘরে শিশু যীশুকে ফুটিয়ে তোলা হয়। ঘরে ঘরে ঝলমল আলোকসজ্জা আলোকিত হয়ে উঠে প্রতিটি ঘর। এছাড়া ক্রিসমাস ট্রি, রকমারি নকশার রঙিন কাগজ, জরি, চেইন, আলোকসজ্জা দিয়ে সাজানো হয় গির্জাঘরগুলো। সেই সঙ্গে বাড়িতে বাড়িতে অতিথিদের আপ্যায়নে কেক আর পিঠাপুলির আয়োজন করা হয়। বড়দিনের উৎসবের ঢেউ লেগেছে অন্য ধর্মাবলম্বীদের মাঝেও। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট এ দিনে ফিলিস্তানের যিহুদিয়া প্রদেশের বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
সাভারে সবচেয়ে বড় গির্জা ধরেন্ডা সেন্ট যোসেফ গির্জার ফাদার ড. আলবার্ট টমাস রোজারিও খ্রীস্টযগ্য আরাধনা পরিচালনা করেন। শনিবার দুপুরে গীর্জা প্রাঙ্গণে দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে হয় আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র হাজি আব্দুল গণি, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার প্রমুখ। এছাড়া সান্তা ক্লজের কাছ থেকে উপহার সামগ্রী পেয়ে মহাখুশি শিশুরা। লাল পোশাক, লাল টুপি পরা সাদা ধবধবে দাড়ি ভ্রম্ন ওয়ালা সান্তা ক্লজ শিশুদের হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেন।
ধরেন্ডা সেন্ট যোসেফ গীর্জার ফাদার ড. আলবার্ট টমাস রোজারিও বলেন, বড়দিনের প্রার্থনা হচ্ছে মানুষের মধ্যে যেন ভ্রাতৃত্ববোধ গাঢ় হয়, পৃথিবী থেকে যেন অস্থিরতা দূর হয় এবং সবার মধ্যেই যাতে শান্তি বিরাজ করে। সেই সাথে করোনামুক্ত হোক পৃথিবী এমন প্রার্থনা ঈশ্বরের কাছে।
Leave a Reply